নদীর পাড়ে তাঁবু খাটানো হয়েছে। ছোট, বড় থেকে শুরু করে বিলাসবহুল তাঁবু। কিছুই বাদ নেই। পাশাপাশি হোটেলও বুক করেছেন অনেকে। অনলাইন এবং অফলাইন, দুভাবেই বুকিং চলছে। চাহিদা আচমকা বাড়ায় ভাড়াও একধাক্কায় কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
advertisement
প্রয়াগরাজের হোটেলগুলিতেো এখন ঠাঁই নেই, ঠাঁই নেই অবস্থা। তবে সবচেয়ে বেশি বুকিং হচ্ছে OYO-তে। একদিন, দুদিন তো বটেই, অনেকে কয়েক ঘণ্টার জন্য বুক করে স্নান সেরে আবার ফিরে যাচ্ছেন। তাঁদের কাছে OYO আশীর্বাদের মতো।
হোটেল কর্মীদেরও এখন নাওয়াখাওয়ার সময় নেই। অনলাইন হোটেল বুকিং প্ল্যাটফর্মগুলিতে যে বিপুল সংখ্যক মানুষ ভিড় করছেন, তাঁদের সবাইকে সামলানো মুখের কথা নয়। অনেকে রুম পাচ্ছেন না। আসলে সারা দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রয়াগরাজে আসছেন। অত হোটেল কোথায়! সবাইকে রুম দেওয়া স্বাভাবিকভাবেই সম্ভব নয়।
OYO-তে দ্বিগুণের বেশি বুকিং: OYO-তে যেন মানুষের ঢল নেমেছে। ইকোনমিক টাইমস-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রয়াগরাজে প্রতিদিন দ্বিগুণের বেশি বুকিং রিকোয়েস্ট আসছে এই অনলাইন হোটেল বুকিং প্ল্যাটফর্মে। আগামীদিনে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
সোমবার থেকে মহাকুম্ভ শুরু হয়েছে প্রয়াগরাজে। OYO-এর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, মহাকুম্ভের এই সময় রুম বুকিংয়ের সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। শাহি স্নান বা অমৃত স্নানের দিনগুলিতে চাহিদা সবচেয়ে বেশি। বুকিং রিকোয়েস্ট তিন গুণ ছাড়িয়ে গিয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, গত মাসের তুলনায় জানুয়ারিতে দ্বিগুণের বেশি রুম বুক হয়েছে।
৪৫ দিন ধরে চলবে মহাকুম্ভ: প্রয়াগরাজে ১৩ জানুয়ারি অর্থাৎ পৌষ পূর্ণিমার দিন থেকে শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ। চলবে ৪৫ দিন। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ত্রিবেণী সঙ্গমে ভিড় জমাচ্ছেন ভক্তরা। প্রথম দুই দিনে ৫ কোটির বেশি পুণ্যার্থী পুণ্যস্নান করেছেন।
মেলা ঘিরে রয়েছে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মহাকুম্ভের প্রথম অমৃত স্নানে সঙ্গমে স্নান করেছেন ৩.৫ কোটির বেশি ভক্ত। উত্তর প্রদেশ সরকারের অনুমান, আগামী কয়েক দিনে ৪৫ কোটি পুণ্যার্থী প্রয়াগরাজে আসবেন। মেলা যাতে সফলভাবে সম্পন্ন হয়, এখন সেদিকেই নজর কর্তৃপক্ষের।