তদন্তে জানা গিয়েছে, মাসে প্রায় ২৫ দিন বিভিন্ন ট্রেনে চেপে ঘুরতেন ওই যুবক। তাঁর গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয়। আটক করে জিআরপি। তদন্তে যুবক জানান, তিনি ভ্রমণ সংস্থায় চাকরি করেন। তাই প্রায়ই ট্রেনে যাতায়াত করতে হয়।
আরও পড়ুন– ডাগআউটের সামনে ঋষভকে জেরা দলের মালিকের! গত বছরের ছবি ফের ভেসে উঠল চলতি মরশুমের IPL-এ
advertisement
কোম্পানির নাম জিজ্ঞেস করলে ওই যুবক একটি বিখ্যাত ভ্রমণ সংস্থার নাম নেন। হেসে ফেলেন জিআরপি জওয়ানরা। তাঁর চেহারা ও কথাবার্তার সঙ্গে মোটেই খাপ খায় না। জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হতেই সামনে আসে যুবকের আসল পরিচয়।
লখনউ রেলওয়ে পুলিশ সুপারের নির্দেশে হরদয় স্টেশনের ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে টহল দিচ্ছিল জিআরপি। সেখান থেকেই আটক করা হয় ওই যুবককে। জিজ্ঞসাবাদে যুবক জানান, তাঁর নাম মিত্রপাল। পিতা সূরজ সিং। তিনি সম্ভল জেলার বাসিন্দা।
কিন্তু তিনি যে কোম্পানির নাম বলেন, তার সঙ্গে তাঁর চেহারা ও আচরণ মিলছিল না, যা দেখে সন্দেহ হয় জিআরপির। জিজ্ঞসাবাদে আসল সত্য বেরিয়ে আসে। জানা যায়, তিনি একজন পাকা মোবাইল চোর। তাঁর কাছ থেকে চুরি যাওয়া বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোনও উদ্ধার হয়।
শেষে ওই যুবক বলেন, চুরির উদ্দেশ্যেই তিনি ট্রেনে উঠতেন। কখনও টিকিট কাটতেন, কখনও রিজার্ভেশনও করতেন। আবার কখনওবা বিনা টিকিটেই যাত্রা করতেন। ট্রেনে উঠে প্রথমে যাত্রীদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দিতেন। মিশে যেতেন ঘরের লোকের মতো। কাউকে তার গ্রামের লোক বলে পরিচয় দিতেন। আবার কাউকে বলতেন, বন্ধুর গ্রামের বাসিন্দা।
যাত্রীরা যখন যুবককে বিশ্বাস করতেন, তখন শুরু হত আসল খেলা। সুযোগ বুঝে মোবাইল, ল্যাপটপ ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিস চুরি করতেন মিত্রপাল। সেই সব চুরির মাল বিক্রি করে দিতেন কম দামে। দীর্ঘদিন ধরেই এই কারবার চালাচ্ছেন তিনি।
তদন্তে জানা যায়, মিত্রপালের বিরুদ্ধে একাধিক জিআরপি থানায় চুরির মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তার খোঁজ চলছিল। পাঁকাল মাছের মতোই পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন অভিযুক্ত। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হাতেনাতে ধরা পড়েছেন জিআরপি-এর জালে।
জিজ্ঞাসাবাদের পর মিত্রপালকে গ্রেফতার করে জিআরপি জওয়ানরা। জিআরপি-এর তরফে জানানো হয়েছে, যাত্রীদের সুরক্ষায় এই ধরণের অভিযান আরও বাড়ানো হবে।