জানা গিয়েছে যে ঘটনাটি উত্তর প্রদেশের লখনউয়ের গোমতীনগরের। নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো এবং রেলওয়ে পুলিশ ফোর্সের ক্রাইম ব্রাঞ্চের যৌথ তদন্তে লখনউয়ের গোমতীনগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ১১ কেজি চরস উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এর দাম প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
advertisement
বলা হয়েছে, পুলিশের কাছে এই চোরাচালানের খবর ছিল। সেই মতো দুষ্কৃতীদের হাতেনাতে ধরতে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো এবং রেলওয়ে পুলিশ ফোর্সের ক্রাইম ব্রাঞ্চ ১০৯৩৮ অবধ এক্সপ্রেসে তল্লাশি চালায়। রাত ১১টা ১০ মিনিটে ট্রেন বুড়ওয়াল স্টেশনে পৌঁছয়। এখানে প্রতিবন্ধী কোচের কাছে লেডিস কোচে তল্লাশি চালানো হয়। নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো শুক্রবার মাঝরাতে ১২টা ৩৮ মিনিটে লখনউয়ের গোমতীনগর স্টেশনে ব্যবস্থা নেয়। তার আগে রেলওয়ে পুলিশ ফোর্স কোচে তল্লাশি চালায়। দুই মহিলাই মুখ ঢেকে বসেছিলেন দুটি বস্তা নিয়ে। আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় পুলিশ বস্তায় কী আছে দেখতে চায়। তখনই তাঁরা হাতেনাতে ধরা পড়ে যান।
আরও পড়ুন– দেখে নিন এই সপ্তাহে কেমন যাবে প্রেমজীবন; জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা
ধৃত দুই মহিলাই বিহারের পশ্চিম চম্পারন জেলার মাঝৌলিয়া থানা এলাকার বাসিন্দা। নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো দুই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মহিলারা জানিয়েছেন যে তাঁরা চরস কোটায় পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। তাঁদের কাছে অন্য একজন চোরাকারবারীর নম্বর আছে, যাঁর কাছে এই চরস তাঁদের পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। কাজ মিটে গেলে টাকা নিয়ে গ্রামে ফিরে যেতেন তাঁরা। আপাতত পুলিশ দুই মহিলার বয়ান খুঁটিয়ে দেখছে যাতে চোরাচালান চক্রের হদিশ পাওয়া যায়।
এর আগের মাসেই, নভেম্বরের শেষের দিকে একই ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে। ৪ মহিলা গাঁজা চোরাচালানকারীর কাছ থেকে ১৬টি ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ২ কুইন্টাল গাঁজা ছিল। এর বাজারমূল্য আনুমানিক ৩০ লাখ টাকার কাছাকাছি বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।