কিন্তু এখানেই শেষ হয়ে যায়নি গল্পের যাবতীয় উত্তেজনা। বরং এবার প্রকাশ্যে এসেছে যুগলের প্রেমে পড়ার রোমাঞ্চকর কাহিনি। বেশ কয়েক মাস আগে বাবার ফেলে যাওয়া মোবাইল থেকে মেয়ের নম্বর নিয়েই প্রেমের প্রস্তাব দেন যুবক, এমনই জানিয়েছে খোদ হজরতগঞ্জের পুলিশ।
advertisement
গত কয়েক দিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে চলন্ত স্কুটিতে চুম্বনরত প্রেমিক যুগলের ছবি। তারপরেই নড়ে বসে প্রশাসন। কিন্তু ভিডিও-টিতে স্কুটির নম্বর ঝাপসা করে দেওয়ায় পুলিশকে যথেষ্ট কাঠখড় পোড়াতে হয় অভিযুক্ত পর্যন্ত পৌঁছতে। পুলিশ জানিয়েছে প্রায় ১০০টি সিসিটিভি ক্যামেরার সাহায্যে অভিযুক্ত ভিকি শর্মাকে সনাক্ত করা হয়। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
হজরতগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ অখিলেশ মিশ্র জানান, ভিকি এবং নাবালিকার বাবা পাশাপাশি দু’টি দোকান চালান। বেশ কয়েক মাস আগে ভিকির দোকানে নিজের মোবাইল ফোনটি ফেলে যান নাবালিকার বাবা। বাড়ি গিয়ে ফোন খুঁজে না পেয়ে মেয়ের ফোন থেকেই সেই নম্বরে ফোন করেন। ভিকি ফোন ফেরত দিলেও নিজের কাছে রেখে দেয় প্রতিবেশী দোকানির মেয়ের নম্বরটি। তারপর ফোনেই জমে ওঠে আলাপ। তা থেকেই সম্পর্ক গড়ায় প্রেম পর্যন্ত, পুলিশের দাবি এসব তথ্য জানিয়েছেন ভিকি নিজেই। ভিকি-র নিজের স্কুটিতেই সেই সন্ধ্যায় সওয়ার হয়েছিলেন দু’জনে। পিছনে অন্য কোনও গাড়ি থেকে ভিডিও করা হয়েছিল যুগল চুম্বনের।
তবে রাস্তায় বেরিয়ে নিয়ম ভাঙার অভিযোগ এর আগেও ছিল ভিকির স্কুটির বিরুদ্ধে। অনলাইন চালান পরীক্ষা করার মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন থেকে জানা গিয়েছে এর আগেও কয়েকবার জরিমানা দিতে হয়েছে ভিকিকে।
চুম্বনের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় যথেষ্ট বিপাকে ভিকি। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৪ ও ২৭৯ ধারায় প্রকাশ্যে অশালীন আচরণ এবং বিপজ্জনক ভাবে গাড়ি চালানোর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করে। নাবালিকাকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।