সম্প্রতি তেমনই ঘটনার কথা জানা গিয়েছে খোদ লখনউ শহর থেকে। উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের কাছেই নাকি দেখা মিলেছে চিতাবাঘের। আর তাতেই ঘুম উড়ে গিয়েছে সাধারণ মানুষ থেকে প্রশাসনের। লখনউ শহর সংলগ্ন মিরপুর গ্রামে আতঙ্কে রাতের ঘুম হারিয়েছেন বাসিন্দারা। গোটা এলাকায় এতটাই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে যে সাধারণ মানুষ বাড়ির ভিতর লাঠিসোঁটা জোগাড় করে রাখছেন, ঘরে ঘরে সাজিয়ে রাখা হচ্ছে ছোট, বড় ইটের টুকরো।
advertisement
কিন্তু আসল ঘটনাটা ঠিক কী?
স্থানীয় ডিএফও রবিকুমার সিং বলেন, মিরপুর গ্রামে চিতাবাঘের পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছে বলে বন বিভাগ খবর পেয়েছিল। বন দফতরের প্রতিনিধি দল মিরপুর পৌঁছে পূর্ণাঙ্গ পরিদর্শন করে এসেছে। সেখানে বনকর্মীদের মোতায়েনও করা হয়েছে। পরিদর্শনের পাশাপাশি প্রথমে আশেপাশের লোকজনকে আশ্বস্ত করা হয় যে আতঙ্কিত হওয়া কারণ নেই, বন দফতরের কর্মীরা গ্রামে রয়েছেন। কোনও ধরনের গুজবে কান দেওয়া উচিত নয় বলেও প্রচার চালানো হয়।
ডিএফও বলেন, বন কর্মীরা বিস্তারিত তদন্ত করেছেন। পায়ের ছাপগুলি যাচাই করে দেখা গিয়েছে, ওগুলি চিতাবাঘের নয়। বরং হায়নার পায়ের ছাপ। তিনি বলেন, হায়নার শরীরেও ডোরাকাটা দাগ থাকে। তার ফলে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। হায়না এবং চিতাবাঘের মধ্যে পার্থক্য করা সহজ হয় না তাঁদের পক্ষে।
তবে এলাকার বাসিন্দাদের সুরক্ষার জন্য ওই গ্রামে বন বিভাগের তিনটি গাড়ি মোতায়েন করা হয়েছে। সব সময় পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য প্রতিনিধি দলও রয়েছে। হায়না গ্রামে থাকলে সেটিকেও উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান হয়েছে। যেকোনও রকম বন্য, হিংস্রপ্রাণী গ্রামে ঢুকে থাকলে তাকে নিরাপদে উদ্ধার করে লোকালয় থেকে দূরে নিরাপদ বাসস্থানে ছেড়ে দেওয়াই বন দফতরের লক্ষ্য।
গত ৩ ডিসেম্বর সকালে গ্রামের লোকজন ওই প্রাণীর পায়ের ছাপ দেখতে পান বলে দাবি। এরপরই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকা জুড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
