লখিমপুর খেরির ঘটনা। ছোট্ট কুঁড়ে ঘরে চলছিল দেশি বন্দুক তৈরির কারখানা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোয়াট ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়। ৫০টি সেমিফিনিশড, ১২টি ফিনিশড পিস্তল ও বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৩ জন পলাতক।
advertisement
লখিমপুর খেরির এই এলাকা গঞ্জার নামে বিখ্যাত। ধৌরাহারা থানা এলাকায় পড়ে। নদী এবং জঙ্গলে ঘেরা পুরো এলাকা। এমন ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেই দুষ্কৃতীদের অবাধ মুক্তাঞ্চল। অপরাধ করে এখানে লুকিয়ে পড়ে। পুলিশ এলেই হয় নদী পথে পালায়। নয়তো ঘন জঙ্গলে উধাও হয়ে যায়।
এখানে ঘাঘর নদীর তীরে খাগিয়া ব্রিজের কাছে অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারখানা খুলেছিল কুখ্যাত দুষ্কৃতী রহিস। ছোট্ট কুঁড়ে ঘরেই পিস্তল তৈরি হত। তারপর পাচার হয়ে যেত নদীপথে। গোপনে খবর পেয়ে পুলিশ এবং সোয়াট টিম যৌথ অভিযান চালায়। ঘটনাস্থল থেকে দুই কারিগরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পলাতক ৩ জন। তাদের কাছ থেকে ৫০টি সেমিফিনিশড পিস্তল, ১২টি ফিনিশড পিস্তল ও বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে।
লখিমপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পবন গৌতম বলেন, ‘অভিযুক্তরা ঘাঘর নদীর তীরে খাগিয়া সেতুর কাছে একটি নির্জন জায়গায় অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারখানা চালাচ্ছিল। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সেমিফিনিশড পিস্তল ও ফিনিশড পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে অবৈধ অস্ত্র তৈরির বিপুল সরঞ্জাম। ঘটনাস্থল থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ আশঙ্কা করছে যে এই অপরাধীরা ২০২৪-এর সালের লোকসভা নির্বাচনে এই অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছিল। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে’।