আমরা যে পৃথিবীতে বাস করি তার সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা বহু বছর ধরে নানা গবেষণা চালিয়ে আসছেন। ইতিমধ্যে আমরা অনেক কিছু জানতেও পেরেছি। তবে, পৃথিবীর সৌন্দর্য এবং সবুজ উপত্যকা ছাড়াও এখানে এমন অনেক রহস্য রয়েছে যা আমরা সাধারণত জানি না। জ্যোতির্বিদ্যার এমন নানা ঘটনা আছে, যার পিছনের কারণ হয়তো বিজ্ঞান জানে কিন্তু আমাদের কাছে সেগুলো এখনও অলৌকিক ঘটনা। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, পৃথিবী গোলাকার এবং এটি ক্রমাগত নিজের অক্ষরেখার উপরে পাক খায়। কিন্তু আমরা এটি অনুভব করি না।
advertisement
আরও পড়ুন– আকাশপথে ভ্রমণকালে বিমান বজ্রপাতের মুখে পড়লে কী কী হতে পারে? জেনে রাখুন আগেভাগেই
পৃথিবী অক্ষরেখার উপরে ঘুরলেও আমরা যে আমাদের জায়গায় স্থির থাকি এর কারণ জানতে আমাদের পদার্থবিদ্যা সম্পর্কে কিছুটা বুঝতে হবে। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম Quora-তে অনেকেই এর উত্তর দিয়েছেন। শৈশবে শেখানো স্থিতিশীলতার নিয়ম এখানেও প্রযোজ্য। আসলে আমাদের পৃথিবী তার অক্ষের উপরে নিজেকে সম্পূর্ণ প্রদক্ষিণ করতে ২৪ ঘণ্টা সময় নেয়। পৃথিবীর গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০০ কিলোমিটার। এতে দিন ও রাতের মধ্যে এক বিশাল তারতম্য ঘটে। ফলে আমরা পৃথিবীর সঙ্গে একই গতিতে ঘুরতে থাকি। আমাদের চারপাশের পরিবেশ এবং সবকিছুই ঘোরে। প্রাণী জগতের শুরু থেকেই এই নিয়ম চলছে, তাই আমাদের দেহ এই গতিতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে।
যেহেতু পৃথিবীর গতি ধ্রুবক, অর্থাৎ এটি একই গতিতে ঘোরে, তাই আমরা এর গতি অনুভব করতে পারি না। কোথাও যদি এর গতি বাড়ে-কমে বা পৃথিবী যদি কোথাও থেমে যায়, তাহলে আমরা প্রবল ধাক্কা অনুভব করব, কেবলমাত্র তখনই আমরা বুঝব যে আমরাও এক গতিতে প্রদক্ষিণ করছিলাম। যেমন ভাবে, আমরা ঘণ্টায় ৮০০ কিলোমিটার বেগে ধাবমান বাহনে চাপার সময় এর গতি বুঝতে পাড়ি না, কিন্তু এরোপ্লেন যখন থেমে যায় তখন আমরা প্রবল ঝাঁকুনি অনুভব করি। এমনকী, গাড়িতে ভ্রমণের সময়ও আমাদের শরীরের নীচের অংশ স্থির হয়ে যায় এবং দেহের উর্ধ্বাংশ এগিয়ে আসে।