চার দশক কম নয়। তাই এই সাফল্যে উচ্ছ্বাস স্বাভাবিক। সেটাই হচ্ছে। তবে শুধু শত্রু দেশ নয়, ভারতের বন্ধু রাষ্ট্রগুলিও ঈর্ষান্বিত। কারণ তাদের উপর নির্ভরতা কমবে, তাই এই সাফল্যে তারা উদ্বিগ্ন। মিত্র দেশগুলির মধ্যে ফ্রান্স, রাশিয়ার মতো মহাশক্তিধর রাষ্ট্রও রয়েছে। এমনকী, আমেরিকাও ভারতের এই সাফল্যকে খুব একটা ভাল চোখে নাও দেখতে পারে।
advertisement
দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ৪.৫ জেনারেশনের ফাইটার জেট তুলে দেওয়া হবে ভারতীয় সেনার হাতে। প্রস্ততি একেবারে শেষ পর্যায়ে। এই সাফল্য শুধু সেনার নয়, ভারতীয় বিজ্ঞানীদেরও আত্মবিশ্বাসও একধাক্কায় অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন শুধু প্রহর গোনার পালা।
লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট (LCA) তেজস প্রোগ্রামের আওতায় প্রথম তেজস MK1A ফাইটার জেট তৈরির কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছে হ্যাল। ভারতীয় সেনা এই জেটের অর্ডার দিয়েছিল। হ্যালের নাসিক প্ল্যান্টে বিমান তৈরি হয়েছে, আশা করা হচ্ছে, এপ্রিলেই এই যুদ্ধবিমান ভারতীয় সেনার হাতে তুলে দেওয়া হবে।
তেজস MK1A হল ৪.৫ জেনারেশনের উন্নত প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান। বর্তমানে ভারতীয় বিমান বাহিনীর জন্য ৪২ স্কোয়াড্রন প্রয়োজন হলেও, হাতে রয়েছে মাত্র ৩১টি স্কোয়াড্রন। এই ঘাটতি পূরণ করতেই বায়ুসেনা মোট ৮৩টি তেজস MK1A-এর অর্ডার দিয়েছিল।
এক দশকের মধ্যে ৩৫০টি তেজস যুদ্ধবিমান সেনায় যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের। তবে জেট তৈরি করতে গিয়ে অনেক বাধার মুখেও পড়তে হয়েছে হ্যালকে। বিশেষ করে মার্কিন কোম্পানি GE-এর ইঞ্জিন সরবরাহে দেরি করায় কিছুটা সমস্যা হয়।
HAL জানিয়েছে, প্রতি বছর ১৬টি যুদ্ধবিমান সরবরাহের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল। তবে নাসিকে নতুন প্লান্ট চালু হওয়ায় পর তা বাড়িয়ে ২৪টি করা হয়েছে। বর্তমানে হ্যালের দুটি প্লান্ট রয়েছে বেঙ্গালুরু ও নাসিকে।
ভারত এখন বিদেশি যুদ্ধবিমানের উপর নির্ভরতা কমাতে চায়। আগামীদিনে তেজসই হতে চলেছে বিমান বাহিনীর তুরুপের তাস। ফলে রাশিয়া ও ফ্রান্সের মতো দেশ, যারা এতদিন ভারতকে মিগ, সুখোই, মিরাজ ও রাফায়েল বিক্রি করে এসেছে, তারা স্বাভাবিকভাবেই হতাশ।