বিবাহিত মহিলাদের সাজগোজ বা প্রসাধন সামগ্রীর মধ্যে অন্যতম হল সিঁদুর, পায়ের মল বা নূপুর, মঙ্গল সূত্র, কাচের চুড়ি । হাতে চুড়ি পরার রীতি সেই বৈদিক যুগ থেকেই চলে আসছে। কিন্তু বিবাহিত মহিলাদের হাতে চুড়ি পরা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
লখনউয়ের বাসিন্দা সরিতা সিংকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন যে, চুড়ি হল স্বামীর দীর্ঘায়ুর প্রতীক। আসলে প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, বিবাহিত মহিলারা চুড়ি পরলে স্বামীর আয়ু বাড়ে। আর এটি বিবাহিত নারীদের ১৬টি শৃঙ্গারের মধ্যে অন্যতম অপরিহার্য শৃঙ্গার হিসাবে গণ্য হয়। এই কারণেই দেবী দুর্গার উদ্দেশ্যে চুড়ি নিবেদন করা হয়ে থাকে। আবার জ্যোতিষী দীনেশ শর্মার মতে, সবুজ চুড়ি দান করা হলে ভগবান বুধের আশীর্বাদ পাওয়া যায় আর বিবাহিত নারীরা পুণ্যফল লাভ করেন। অন্য দিকে, বাস্তুশাস্ত্র অনুসারেও চুড়ি পরা খুবই শুভ। কারণ চুড়ির রিনরিনে আওয়াজে বাড়িতে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার ঘটে।
advertisement
আবার চুড়ি পরার বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব প্রসঙ্গে কথা বলেন লখনউয়ের বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা। তাঁর বক্তব্য, যে মহিলারা হাতে চুড়ি পরেন, তাঁদের স্বাস্থ্য অনুকূল থাকে। কারণ চুড়ি পরলে শ্বাস-প্রশ্বাস এবং হার্ট সংক্রান্ত সমস্যাও কমে যায়। তার পাশাপাশি মানসিক স্থিতিও ভাল থাকে এবং এর কারণে নারীদের মধ্যে ক্লান্তির ভাব কমে। কারণ কব্জির নিচ থেকে ছয় ইঞ্চি পর্যন্ত অ্যাকুপ্রেসার পয়েন্ট রয়েছে। ফলে চুড়ির চাপে শরীর সুস্থ থাকে। এমতাবস্থায় হাতে চুড়ি পরলে নারীদের মধ্যে প্রাণোচ্ছল ভাবও বজায় থাকে।
আবার তিজ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী মহিলারা আরও একটি মজার কারণ জানান। তাঁদের কথায়, মহিলাদের হাতে চুড়ি পরানো হয়। কারণ কাজের সময় সেই চুড়ির আওয়াজের মাধ্যমেই শাশুড়িরা দূরে থাকলেও বুঝতে পারেন যে পুত্রবধূ ঘরে কাজ করছেন।