লোকবিশ্বাস অনুসারে, ইংরেজিতে বহুল প্রচলিত ‘ওকে’ শব্দের উৎপত্তি কিন্তু ইংরেজি ভাষায় নয়, স্প্যানিশে, এমনটাই মনে করা হয়। কিন্তু আসলে এটি একটি আমেরিকান ইংরেজি শব্দ।
আরও পড়ুন- ট্যাটু করাতে চাইছেন? ভেবে দেখুন, ওটাই এবার সবার কাছে জানান দেবে শরীরের গোপন রোগভোগের
তবে মজার বিষয় হল এখন সম্ভবত বিশ্বের প্রতিটি ভাষায় ‘ওকে’ শব্দের ব্যবহার করা হয়, শুধুমাত্র উচ্চারণগত ভিন্নতা রয়েছে এমনটা হতে পারে। আজকাল ‘ওকে’ ছোট বা বড় সবাই বিনা দ্বিধায়, খুব সহজেই ব্যবহার করে থাকেন। যদিও কয়েক দশক আগেও এমনটা ছিল না। শিক্ষাবিদরা এই শব্দের ব্যবহার বিপণনযোগ্যতার কারণে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এমনটা মনে করেছেন। তবে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এটি একটি ইয়াঙ্কি (YANKEE) শব্দ অর্থাৎ যার কোনও গুরুগম্ভীর মানে নেই।
advertisement
অনেকে বলেন, এই শব্দের উৎপত্তি মার্কিন প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জ্যাকসনের (Andrew Jackson) ব্যবহার করা ‘অল কারেক্ট’ বা ‘ওকে’ থেকে। যদিও ভারত ও পাকিস্তানের মানুষজন মনে করেন জর্জ ওয়াশিংটন (George Washington) বা আব্রাহাম লিংকনের (Abraham Lincoln) ভাষণ থেকে শব্দটা এসেছে। যদিও কেউ কেউ মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই শব্দের প্রবর্তনের গল্পকে ভুল বলে মনে করেন। এই প্রসঙ্গে আরেকটি নির্ভরযোগ্য গল্প হিসেবে অনেকেই ১৮০০ শতকের এক রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারের ঘটনাকে সত্যি বলে মেনে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন- রাশিফল ১৫ অগাস্ট; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
ওই প্রার্থীর নাম ছিল ওল্ড কিন্ডারহুক (Old Kinderhook) এবং নিবাস ছিল নিউ ইয়র্কে। একারণেই তাঁর সমর্থকরা ওই নামের প্রাথমিক অক্ষর দিয়ে একটি ‘ওকে’ গ্রুপ গঠন করেন। সে সময় এই শব্দটি বেশ প্রচার পেয়েছিল।
আমেরিকান রেলওয়ের প্রাথমিক দিনগুলিতে এক ডাক কেরানি তার দায়িত্বে থাকা প্রতিটি পার্সেলে ‘ওকে’ লিখে তাঁর নামের আদ্যক্ষর লিখতেন, যাতে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেন যে সবকিছু ঠিক আছে। কেন না, ‘ওকে’ শব্দটির মানে রেড ইন্ডিয়ানদের ভাষায় 'ঠিক আছে'।
বর্তমানে এই শব্দটি এতটাই প্রচলিত যে, যে কোনও ভাষায় খানিটা উচ্চারণের অদল-বদল করে নিয়ে শব্দটি ব্যবহার করা হয়।