আমরা সকলেই জানি যে, ব্রিটিশরা গোটা ভারতেই নিজেদের রাজত্ব কায়েম করেছিল এবং কয়েকশো বছর ধরে রাজ্যপাট চালিয়েছিল। ভারতীয়দের উপর যথেচ্ছ ভাবে অত্যাচারও করেছে তারা। তবে ভারতের একটি রাজ্যে রাজত্ব কায়েম করার স্বপ্ন তাদের অধরাই রয়ে গিয়েছিল। কখনওই সেই রাজ্যকে তারা নিজেদের দাস বানাতে পারেনি। কিন্তু কীভাবে ব্রিটিশদের দাপট থেকে ওই রাজ্যটি নিরাপদ ছিল?
advertisement
ব্রিটিশরা কাবু করতে পারেনি ভারতের এই রাজ্যটিকে:
বিষয়টা এমনটা নয় যে, সেই রাজ্যে কোনও সম্পদ ছিল না। কিংবা সেই রাজ্যটা সুন্দর ছিল না। এমনকী, আজকের দিনেও সৌন্দর্যের জন্য পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে রয়েছে এই রাজ্যটি। আমরা এখানে কথা বলছি গোয়ার বিষয়ে। সাগর-বেষ্টিত এই রাজ্য ব্রিটিশদের দাসত্ব করেনি। আর ব্রিটিশদের অত্য়াচারের হাত থেকে এই রাজ্যটি রেহাই পেয়েছিল, তার একটা বড় কারণ হল পর্তুগিজরা। ব্রিটিশদের অনেক আগে সেই ১৪৯৮ সালে তারা ভারতে পৌঁছেছিল। ভাস্কো ডা গামা ভারতকে আবিষ্কার করেছিলেন। তারপর থেকে পর্তুগিজরা এই দেশে বাণিজ্য শুরু করেছিল। এই সময়ের মধ্যে ব্রিটিশ এবং পর্তুগিজদের মধ্যে বেশ কিছু যুদ্ধ হয়েছিল। কিন্তু গোয়া কখনওই ব্রিটিশদের শাসনের অধীনে যায়নি।
এই রাজ্য দাসত্ব করেছে ঠিকই, তবে ব্রিটিশদের নয়:
১৬০৮ সালে ভারতের সুরাতে পৌঁছেছিল ব্রিটিশরা। ভারতের সম্পদ বাণিজ্যের মাধ্যমে তারা নিজেদের দেশে নিয়ে চলে যেত। ধীরে ধীরে এই দেশে আধিপত্য কায়েম করতে শুরু করে ব্রিটিশরা। যদিও ১৯৪৭ সালে তাদের ভারতছাড়া হতে হয়। কিন্তু ভারতের একমাত্র রাজ্য গোয়া কখনওই ব্রিটিশদের নিয়ন্ত্রণের অধীনে আসেনি। তবে ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা লাভ করলেও গোয়া কিন্তু স্বাধীনতা লাভ করেনি। এই রাজ্যটি পর্তুগিজদের আওতায় ছিল। এমনকী, তারা প্রায় ৪০০ বছর ধরে ভারতে ছিল। ব্রিটিশরা ভারত ছেড়ে বেরিয়ে গেলেও গোয়া কিন্তু পর্তুগিজদের শাসনের আওতায় থেকে গিয়েছিল। অবশেষে ১৯৬১ সালে গোয়ায় পর্তুগিজ শাসনের অবসান ঘটে।