তার আগে জেনে নিন সেখানকার ৫টি সেরা জায়গার নাম -
খাজুরাহো :
এই খাজুরাহো মন্দির মধ্যপ্রদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ঐতিহাসিক স্থান যেখানে সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় জমে থাকে। খাজুরাহো কে UNESCO এর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে . খাজুরাহোর মনুমেন্টসগুলো ছতারপুর জেলায় অবস্থিত হিন্দু ও জৈন মন্দিরগুলির একটি সংগ্রহশালা। ৮৮৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১০০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে চান্দেলা রাজবংশের রাজা এরই খাজুরাহো মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। এই মন্দিরের চোখ ধাঁধানো স্থাপত্য , দুর্দান্ত শিল্পকর্ম, পাথরের কারুকার্য আজ মানুষকে আকর্ষণ করে।
advertisement
ভীমবেটকা:
এই জায়গাটিও UNESCO এর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটে অন্তর্ভুক্ত যেখানে সাতটি পাহাড় এবং ১০ কিলোমিটারেরও বেশি বিস্তৃত ৭৫০টি রক সেল্টার রয়েছে । মধ্যপ্রদেশের রাইসেন জেলায় অবস্থিত প্যালিওলিথিক আরকেওলোজিক্যাল সাইট হল এই ভীমবেটকা। এখানকার পাথরের ওপর খচিত চিত্রকর্মগুলো ৩০০০০ বছর পুরোনো এবং এগুলি মানবজীবনের উৎসের কাহিনী বর্ণনা করে।
ভেরাঘাট:
মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুর জেলায় নর্মদা নদীর তীরে অবস্থিত এই জায়গাটি পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। এখানে হাই মার্বেল রকস দ্বারা একটা সুন্দর ভ্যালি তৈরি হয়েছে যেখান দিয়ে শান্ত সুন্দর নর্মদা বয়ে চলেছে। বাইরে থেকে লোকেরা এই সুন্দর ভ্যালি দেখতে এখানে ছুটে আসেন। এছাড়াও এখানকার অপূর্ব সুন্দর ওয়াটারফল ধুঁয়াধার ফল আপনাকে মন্ত্রমুগ্ধ করে দেবে।
সাঁচিস্তূপ:
ভারতের যাবতীয় বৌদ্ধ মনুমেন্টসের মধ্যে সাঁচি স্তুপ সবচেয়ে প্রাচীনতম স্থাপত্য হিসেবে পরিচিত। সাঁচি পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত এই সাঁচিস্তূপ খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে মৌর্য রাজবংশের সম্রাট অশোক দ্বারা স্থাপিত হয়েছিল। UNESCO দ্বারা এই জায়গাটিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট বলেও ঘোষণা করা হয়েছে।
রালামন্ডল:
রোজকার ব্যস্ততাময় জীবন এবং শহরের ভিড়ভাট্টা ও কোলাহল থেকে দূরে যেতে চাইলে অবশ্যই একবার রালামন্ডাল ঘুরে আসুন। আপনি যদি প্রকৃতি এবং বন্যপ্রাণী প্রেমী হয়ে থাকেন তাহলে ভুলেও এই জায়গাটি একদম মিস করবেন না। মধ্যপ্রদেশ ঘুরতে গিয়ে যদি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে চান তবে জেনে রাখুন এটা আপনার জন্য সবচেয়ে শ্রেয়। চিতাবাঘ, কালো হরিণ, সম্ভারের মতো বন্যপ্রাণী এবং সেগুন, ইউক্যালিপটাস, বাবুল ইত্যাদির মতো বিভিন্ন গাছপালা অন্বেষণ করার জন্য এটি সত্যি দুর্দান্ত জায়গা।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।