আরও পড়ুনঃ রাতে নিজের বা প্রিয়জনের মৃত্যুর স্বপ্ন! এ আসলে কোন ইঙ্গিত, কোনও বিপদ-সঙ্কেত কি
জিলুমল তাহলে গাড়ি চালান কীভাবে? পা দিয়ে। হ্যাঁ, দুই পা দিয়েই স্টিয়ারিং ধরেন তিনি। গিয়ার বদলান। ব্রেক কষেন। সব। দীর্ঘ ৬ বছরের অপেক্ষার পর ২০২৩ সালে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয় তাঁকে। পাল্লাকাদে জিলুমলের হাতে লাইসেন্স তুলে দিয়েছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন স্বয়ং।
advertisement
জন্ম থেকেই দুই হাত নেই জিলুমলের। এটা এক ধরনের জন্মগত ব্যাধি। তবে জিলুমল ভেঙে পড়েননি। দোষারোপ করেননি ভাগ্যকে। তিনি অন্য ধাতুতে গড়া। ছোট থেকেই নিজেকে গড়ে তুলেছেন অন্যভাবে। হাতের সমস্ত কাজ তিনি পা দিয়েই করেন। অত্যন্ত অনায়াসে। গাড়িও চালান। তবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য রাজ্য কমিশন এবং কোচির একটি বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় তাঁর গাড়িতে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে।
গাড়ি চালানো জিলিমলের স্বপ্ন ছিল। বিশেষ করে মা-বাবাকে হারানোর পর, স্বাধীনভাবে বাঁচার জন্য এটা প্রয়োজনও ছিল। ভাদুথালার মারিয়া ড্রাইভিং স্কুলে গাড়ি চালানো শেখেন তিনি। তারপর ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ইদুক্কি জেলার থুদুপুজা আরটিও-তে আবেদন করেন। আরটিও আধিকারিকরা এককথায় নাকচ করে দিয়েছিলেন তাঁর আবেদন। সঙ্গে সঙ্গে কেরালা হাই কোর্টে মামলা ঠোকেন তিনি।
আদালতের হস্তক্ষেপে জিলুমলের ড্রাইভিং টেস্ট হয়। এমভিভি কর্মকর্তাদের সামনে গাড়ি চালান তিনি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাঁকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে অস্বীকার করে। অবশেষে, তিনি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য রাজ্য কমিশনের কাছে যান৷ কমিশন ইন্দোরের বিক্রম অগ্নিহোত্রীর উদাহরণ দেন। তিনিই ভারতের প্রথম ব্যক্তি যিনি দুই হাত না থাকার পরেও ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়েছিলেন।
এরপর অবশেষে ড্রাইভিং লাইসেন্স পান জিলুমল। তিনি বলেন, “এটাই আমার সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা ছিল। এখন লাইসেন্স হাতে পেয়ে আমি খুশি। সবচেয়ে বড় বাধা অতিক্রম করতে পেরেছি”।