এ বার এই জনপ্রিয় গেম শোয়ের ১২ নম্বর সিজন চলছে। আর এই সিজনের একটি এপিসোডে মধ্যপ্রদেশের এক প্রতিযোগী কোশলেন্দ্র সিং তোমর অলিম্পিক নিয়ে এক প্রশ্নে বিপাকে পড়ে যান। হটসিটে বসা কোশলেন্দ্র সিং তোমর তাঁর ষষ্ঠ প্রশ্ন অর্থাৎ ২০,০০০ টাকার প্রশ্ন পর্যন্ত মাত্র একটি লাইফলাইন নিয়েছিলেন। কিন্তু শিয়রে বিপদ ঘনায়, যখন সপ্তম প্রশ্ন হাজির হয়। সাত নম্বর প্রশ্নটি ছিল ৪০,০০০ টাকার জন্য। তোমরকে প্রশ্ন করা হয়, সামার অলিম্পিক গেমসে একমাত্র কোন ভারতীয় মহিলা রুপো জেতেন? এই প্রশ্নের জন্য অপশনগুলি ছিল- পি ভি সিন্ধু, মেরি কম, কর্ণম মালেশ্বরী আর সাক্ষী মালিক।
advertisement
প্রশ্ন শোনার পর থেকেই চাপে পড়তে শুরু করেন তোমর। কারণ উত্তর সম্পর্কে নিশ্চিত ছিলেন না তিনি। এই পরিস্থিতিতে প্রথমে এক বন্ধুকে ফোন করেন। অর্থাৎ Video Call A Friend অপশনটিকে বেছে নেন তিনি। কিন্তু তেমন কোনও লাভ হয়নি। কারণ ফোনের ওপারে থাকা বন্ধুটি অপশন D অর্থাৎ সাক্ষী মালিককে উত্তর হিসেবে বেছে নিলেও, নিজের উত্তর নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন না। তোমর এ বার 50-50 অপশনে যান। আর এখানে তিনি যে অপশন D অর্থাৎ সাক্ষী মালিককে উত্তর হিসেবে ভাবছিলেন সেটি বাদ পড়ে। সঙ্গে বাদ যায় অপশন B মেরি কমও। এর পরও উত্তরের কাছে পৌঁছতে পারেননি কোশলেন্দ্র সিং তোমর। এ বার তিনি তাঁর ফাইনাল লাইফলাইন Ask The Expert-কে কাজে লাগান। তখন তিনি জানতে পারেন যে তাঁর প্রশ্নের উত্তর ছিল পি ভি সিন্ধু। কারণ ২০১৬ সালে রুপো জেতেন সিন্ধুই। এবং তিনিই একমাত্র ভারতীয় মহিলা হিসেবে সামার অলিম্পিক গেমসে রুপো জেতেন। এ ক্ষেত্রে অপশান C কর্ণম মালেশ্বরী ছিলেন দেশের হয়ে প্রথম সোনাজয়ী মহিলা।
এই শোয়ে প্রতিযোগীকে সঠিক পথ প্রদর্শন করাতেও দেখা যায় সঞ্চালক অমিতাভ বচ্চনকে। অবশ্য এর কারণ ছিলেন তোমর নিজেই। এক সময়ে তোমর জানান, পুরস্কারের মূল্য দিয়ে তাঁর স্ত্রীয়ের মুখে প্লাস্টিক সার্জারি করাতে চান। বিগ বি যখন এই প্লাস্টিক সার্জারির কারণ জিজ্ঞাসা করেন, তখন তোমর জানিয়েছিলেন, ১৫ বছর ধরে স্ত্রীর একই মুখ দেখে তিনি ক্লান্ত। এর পর বিগ বি নিজে ক্যামেরার সামনে ওই প্রতিযোগীর স্ত্রীর উদ্দেশে একটি বার্তা দেন। তোমরের স্ত্রীকে বিষয়টিকে গুরুতর ভাবে নিতে না বলেন। তিনি আরও বলেন, অনেকেই এই ধরনের কথা বলে থাকেন, কিন্তু কয়েক বছর প্লাস্টিক সার্জারির প্রভাব আর থাকে না, সব আগের মতো হয়ে যায়। তাই তোমরকে তিনি বলেন, এই ধরনের কথা বলা উচিত নয়। এমনকি এ নিয়ে মজা করাও উচিত নয়!