TRENDING:

ট্রেনের কামরায় আলাপ, এরপর একজন হয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি আর অন্যজন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি; সেই চমকপ্রদ গল্পই শোনালেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি

Last Updated:

প্রধান বিচারপতি ভেঙ্কটরামাইয়ার জন্ম শতবর্ষে বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ল স্কুল অফ ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটিতে একটি বক্তব্য রেখেছেন বিচারপতি নাগরত্না।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বেঙ্গালুরু: নিজের বাবা তথা ভারতের প্রাক্তন বিচারপতি ইএস ভেঙ্কটরামাইয়া জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে একটি অনন্য গল্প ভাগ করে নিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিভি নাগরত্না। আর এই গল্প ভাগ করে নেওয়ার সময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত দেশের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন বিচারপতি নাগরত্না। প্রধান বিচারপতি ভেঙ্কটরামাইয়ার জন্ম শতবর্ষে বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ল স্কুল অফ ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটিতে একটি বক্তব্য রেখেছেন বিচারপতি নাগরত্না। আসলে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে অবসরগ্রহণের পর পড়াতেন তাঁর বাবা। এর পাশাপাশি সেখানে স্মারক বক্তৃতা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পিএস নরসিমহাও।
চমকপ্রদ গল্পই শোনালেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি
চমকপ্রদ গল্পই শোনালেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি
advertisement

আরও পড়ুন– বাড়ি থেকে মানেনি সম্পর্ক, বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’ অভিনেত্রী ও তাঁর প্রেমিককে; বলিউডি ছবিকেও হার মানাবে তাঁদের প্রেমকাহিনি

ট্রেনে দুই আইনজীবীর সাক্ষাতের একটি চমকপ্রদ গল্প ভাগ করে নিলেন বিচারপতি বিভি নাগরত্না। এর মধ্যে একজন প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন আর অন্যজন হয়েছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন যে, ১৯৪৬ সালের ডিসেম্বর মাসে নাগপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল অল ইন্ডিয়া ল’ইয়ার্স কনফারেন্স। যেহেতু বেঙ্গালুরু আর নাগপুরের মধ্যে কোনও ডিরেক্ট ট্রেন ছিল না, সেই কারণে যাত্রীদের গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক এক্সপ্রেস নেওয়ার জন্য মাদ্রাজ তথা চেন্নাইয়ে যেতে হত। চেন্নাই এবং বেঙ্গালুরু থেকে আগত কিছু আইনজীবীকে ট্রেন ধরতে হয়েছিল। খুব শীঘ্রই তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল।

advertisement

৪৩ বছর বাদে রাষ্ট্রপতি ভবনের অশোক হলে দেখা:

বিচারপতি নাগরত্না বলেন যে, ট্রেনের কামরায় সেই সাক্ষাতের প্রায় ৪৩ বছর পর অর্থাৎ ১৯৮৯ সালের জুন মাসে রাষ্ট্রপতি ভবনের অশোক হলে দেখা হল দুই আইনজীবীর। এঁদের মধ্যে একজন হলেন আর ভেঙ্কটরমন। সেই সময় ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিচ্ছিলেন তিনি। আর অন্যজন হলেন বিচারপতি ইএস ভেঙ্কটরামাইয়া, যিনি সেই সময় দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। আসলে তিনি এসেছিলেন ভেঙ্কটরমনকে শপথবাক্য পাঠ করাতে। বিচারপতি নাগরত্না বলেন যে, “যখন আমার বাবা রাষ্ট্রপতি আর ভেঙ্কটরমনকে তাঁর শপথ অনুষ্ঠানে নাগপুরগামী ট্রেনে সাক্ষাতের ঘটনার কথা বলেন, তখন তাঁরও মনে পড়ে গিয়েছিল সেই সফরের কথা!”

advertisement

আরও পড়ুন– সুরাত থেকে ব্যাঙ্ককগামী বিমানে মদের ফোয়ারা! চার ঘণ্টায় ১.৮০ লক্ষ টাকার মদ খেলেন যাত্রীরা, স্ন্যাক্সও শেষ

বাবার শেখানো মূল্যবোধ:

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময়ে বিচারপতি নাগরত্না বলেন, এটা তাঁর সৌভাগ্য যে, বাবার মতো একজন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী মানুষের কাছ থেকে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা পেয়েছেন। বিচারপতি নাগরত্নার কথায়, “আমি আইনের ছাত্রী ছিলাম। আর সব সময় বাবার সাহায্য পেয়েছি। আমি তাঁর মধ্যে ব্যক্তিত্বের দৃঢ়তা দেখেছি। যা আমার মধ্যেকার ব্যক্তিগত বিশ্বাসও বাড়িয়েছে। আর আমি এটা শিখেছি যে, ভাল কোনও কারণের জন্য লড়াই করা সবথেকে জরুরি।” বিচারপতি নাগরত্না আরও বলেন যে, সাহিত্য এবং ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি তাঁর বাবার ছিল গভীর অনুরাগ। আর বাবার মধ্যে থাকা জ্ঞানের পিপাসাই তাঁকে বিভিন্ন বিষয়ের প্রতি আকৃষ্ট করেছে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
ট্রেনের কামরায় আলাপ, এরপর একজন হয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি আর অন্যজন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি; সেই চমকপ্রদ গল্পই শোনালেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল