বিষ্ণুগড় সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার বি. এন. প্রসাদ বলেন যে, উদ্ধার হওয়া ওই শকুনটি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির শিডিউল ১-এর আওতায় পড়ে। শকুনটির ঘাড়ের পিছন দিকে রয়েছে সাদা পালক। বি. এন. প্রসাদের বক্তব্য, সোমবার কোনার বাঁধের জলে একটি আহত শকুনকে পড়ে থাকতে দেখেন একদল মৎস্যজীবী। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে বন দফতর এবং পুলিশ আধিকারিকদের খবর দেন। এরপরেই ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর অফিসারদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।
advertisement
শকুনটির পায়ের সঙ্গে বাঁধা ছিল একটি রিং। যার উপর লেখা ছিল GPBOX-2624, Dhaka, B67। একটি ট্র্যাকিং ডিভাইসও শকুনটির থেকে উদ্ধার হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, ট্র্যাকিং ডিভাইসের সঙ্গে মিলেছে একটি নোটও। যেখানে লেখা রয়েছে, ইফ ইট ইজ ফাউন্ড, প্লিজ কন্ট্যাক্ট John.Malot@rspb.org.uk (অর্থাৎ যদি এটা পাওয়া যায়, তাহলে অনুগ্রহ করে John.Malot@rspb.org.uk-এর সঙ্গে যোগাযোগ করুন)। ফলে সন্দেহ দানা বেঁধেছিল। আপাতত বন দফতরের আধিকারিকেরা ওই শকুনটিকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছেন। কিছুদিন নজরদারির জন্য রাখা হবে পাখিটিকে।
পুলিশের সন্দেহ, ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান রয়্যাল সোসাইটি ফর প্রোটেকশন অফ বার্ডসের ঢাকার পক্ষী-গবেষক জন ম্যালটই পাখিটিকে পাঠিয়েছিলেন। গতিবিধির উপর নজরদারি চালাতে পাখিটির গায়ে একটি ডিভাইস এবং একটি সোলার রেডিও কলার লাগিয়ে দিয়েছিলেন। ঢাকা থেকে পাখিটি সটান উড়ে এসেছে ঝাড়খণ্ডে। আধিকারিকের বক্তব্য, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আন্দোলনের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। এতে কোনও রকম খারাপ বা উদ্বেগের কিছু নেই বলেই সন্দেহ করা হচ্ছে। কিন্তু তদন্ত চলছে।