এমনকী, ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা এই লেটেস্ট ট্রেন্ডে গা ভাসাতে মজা করে ছবি কিংবা ভিডিও-র ক্যাপশনও দিচ্ছেন। আর ক্যাপশনে এটা পড়লেও মাথায় ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই সংলাপটা। বলা ভাল, এই সংলাপে আসক্ত হয়ে উঠেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় বসবাসকারীরা। কিন্তু এই সংলাপের পিছনে কার অবদান রয়েছে? অর্থাৎ কোথা থেকে এটি ভাইরাল হয়েছে? সেটাই শুনে নেওয়া যাক।
advertisement
ভাইরাল এই ট্রেন্ড শুরু করেছেন জ্যাসমিন কৌর নামে এক মহিলা। কিন্তু কে এই জ্যাসমিন? নয়াদিল্লির ফতেহ নগর জেল রোডে একটি জামাকাপড়ের দোকান চালান জ্যাসমিন। নিজের স্টোরের ট্র্যাডিশনাল কালেকশনের প্রচার করার জন্য হামেশাই ছোট ছোট রিলস ভিডিও শেয়ার করে থাকেন তিনি। আর বেশির ভাগ রিলস ভিডিও-য় জ্যাসমিনকে বলতে শোনা যায়, ‘জাস্ট লুকিং লাইক আ ওয়াও।’
তিনিই এই ট্রেন্ড চালু করেছেন এবং ইন্টারনেট এখন সেই জ্বরে কাবু। এটা ভাল লাগুক কিংবা না-ই লাগুক, নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে, এটা এড়িয়ে চলা সম্ভব নয়। এই বাক্যাংশটি বেশ আকর্ষণীয়। ফলে নেটিজেন এমনকী সেলিব্রিটিরাও এই বাক্যাংশে আসক্ত হয়ে পড়েছেন।
বেশ মজা করেই নিজের স্টোরের জামাকাপড় বিক্রি করেন জ্যাসমিন। অদ্ভুত ভাবে রঙের বর্ণনাও দেন। তিনি ‘লাড্ডু-পিলা’ রঙের সঙ্গে গোটা দুনিয়ার পরিচয় ঘটিয়েছেন। সেটা কীরকম? এটা আসলে হলুদ রঙের প্রাণবন্ত বা উজ্জ্বল একটি শেড। জ্যাসমিনের বক্তব্য, “আপনারা এই রঙের মধ্যে বুঁদির লাড্ডু খুঁজে পাবেন।” লাড্ডু পিলা ছাড়াও অন্যান্য রঙেরও আজব সব নাম খুঁজে বার করেছেন তিনি। যেমন – ‘ব্লাড রেড কালার’, ‘মাউস কালার’ এবং আরও নানা কিছু। তাঁর স্টোরে লার্জ, XL, XXL, 3XL, 4XL, 5XL এবং 6XL সাইজের জামাকাপড় পাওয়া যায়।
জ্যাসমিনের এই ট্রেন্ডে গা ভাসিয়েছেন বলিউডের সেলিব্রিটিরাও। কৌরের গলার স্বর ব্যাকগ্রাউন্ডে ব্যবহার করে নিজের ভক্তদের মনোরঞ্জন করছেন তাঁরা। ভারতীয় মিউজিক কম্পোজার, প্রোডিউসার ও ইউটিউবার যশরাজ মুখাটে তো ‘জাস্ট লুকিং লাইক আ ওয়াও’ বাক্যাংশ ব্যবহার করে গোটা একটা গানই রচনা করে ফেলেছেন। ইনস্টাগ্রামে এই রিল পৌঁছে গিয়েছে ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষের কাছে। সানিয়া মালহোত্রা, দীপিকা পাড়ুকোন, ওয়ামিকা গাব্বির মতো অভিনেত্রীরা তো মেতেছেন ভাইরাল ট্রেন্ডে। আবার আথিয়া শেঠি-কে এল রাহুল, নিক জোনাস-প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মতো জুটিকেও ‘জাস্ট লুকিং লাইক আ ওয়াও’ খুনসুটিতে মাততে দেখা গিয়েছে।