ভগবান ইন্দ্র একবার তাঁর ভক্তদের উপর খুবই বিরক্ত হন৷ তিনি অঝোর বৃষ্টিপাত শুরু করেন৷ এরফলে তৈরি হয় বন্যার আশঙ্কা৷ যাতে প্রবল ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি হয়৷ এবার আসরে নামেন শ্রীকৃষ্ণ৷ নিজের জন্মস্থান গোকুল এবং সেই গ্রামের মানুষকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন তিনি৷ নিজের আঙুলের ডগায় গোবর্ধন পর্বতকে তুলে নিয়ে আসেন তিনি এবং তার নিচেই গোকুলের গ্রামবাসী ও পশুরা আশ্রয় নেয়৷ তখন ভগবান ইন্দ্র বিষয়টি বুঝতে পেরে বৃষ্টিপাত কমিয়ে দেন এবং ধীরে ধীরে শান্ত হয় পরিস্থিতি৷ একই সঙ্গে নেমে যেতে থাকে বন্যার জল৷
advertisement
এই পর্বটি পৌরাণিক কাহিনির বিখ্যাত আখ্যান এবং শ্রীকৃষ্ণকে ৫৬ ধরনের প্রসাদ প্রদানের রীতির সঙ্গেও যুক্ত করা হয়৷ একেই বলে ছাপ্পান্ন ভোগ অর্থাৎ ৫৬টি ভিন্ন নৈবেদ্য৷ বৃষ্টির ফলে ৭দিন শ্রীকৃষ্ণ খাবার গ্রহণ করেননি৷ বৃষ্টি থামার ফলে অবশেষে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে মা যশোদা ৯ বার করে খাওয়াতেন দিনে৷ সেই মতো দেওয়া হয়েছিল ৫৬টি খাবার৷ সেই থেকেই এই ৫৬ ভোগের নিময় শুরু এবং এর জন্যই জন্মাষ্টমী বা কৃষ্ণের পুজোতে ৫৬ ভোগ উৎসর্গ করা হয়৷
অন্যদিকে এই ৫৬ ভোগের সঙ্গে আরও একটি গল্প রয়েছে৷ বলা হয় যে শ্রীকৃষ্ণ নাকি একবার রাধার ঐশ্বরিক পদ্মের উপর বসেছিলেন৷ তাতে ছিল ৩টি স্তর৷ প্রথমটি ৪টে, দ্বিতীয়টি ২৬টি এবং তৃতীয়টি ৩২টি৷ সেই মতো শ্রীকৃষ্ণকে ৫৬টি খাবার ভোগ হিসেবে দেওয়া হয়৷