জামুই: সমাজকে নেশামুক্ত করার পথে অনন্য উদ্যোগ নিয়েছিল বিহার। সারা রাজ্যকে করে তুলেছিল মদ্যপান বহির্ভূত এলাকা। জায়গায় জায়গায় বসেছিল মদ নিষেধ থানা। সেই বিহারেরই অন্তর্গত জামুইয়ে এবার এক থানায় মদ্যপ অবস্থায় হাজির হলেন এক সাব-ইনস্পেকটর।
জানা গিয়েছে, ওই সাব-ইনস্পেকটরের নাম কেদার ওঁরাও। মদের নেশায় চুর হয়ে সার্ভিস রিভলবার হাতে তিনি পৌঁছে যান থানায়। সেই রিভলবারও আবার লোডেড ছিল। নেশা এবং পদাধিকারের গর্বে আইডি কার্ড দেখিয়ে পার পেতে চেয়েছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন, কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাবে না। থানার এক নারীকর্মীর শ্লীলতাহানির মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে এই ঘটনার সূত্রে তাঁর নামে। শুধু তা-ই নয়, সহকর্মী এএসআই-কে রীতিমতো শারীরি লাঞ্ছনাও করেছেন তিনি। ওই এএসআই-এর নাম রাকেশ কুমার সিং। তিনি বাধা দিলে তাঁর গায়ে হাত তোলেন সাব-ইনস্পেকটর কেদার ওঁরাও। মারামারিতে রীতিমতো জখম হয়েছেন রাকেশ, বর্তমানে তিনি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন– একটানা অবিরাম বৃষ্টি ! ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আরও কতদিন পর্যন্ত? দেখে নিন
সাব-ইনস্পেকটর কেদার ওঁরাও প্রতিনিধি রূপে ওই থানায় প্রবেশ করেন। তাঁর রিভলবারে দশটি গুলি ছিল বলে জানা গিয়েছে। এখানেই তিনি নারীকর্মীদের অশ্লীল ভাষায় সম্বেধন করেন এবং গালাগালি দেন। আবগারি দফতরের ডিএম এবং এসপি-কে এই ঘটনার কথা জানানো হয় তৎক্ষণাৎ। পুলিশ এসে সাব-ইনস্পেকটর কেদার ওঁরাওকে হেফাজতে নেয় এবং তাকে হাজতে পাঠায়। ধটনায় সাব-ইনস্পেকটর কেদার ওঁরাওকে সাময়িক বরখাস্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
জামুই পুলিশ জানিয়েছে যে সিটি পুলিশ স্টেশনে নিযুক্ত সাব-ইনস্পেকটর কেদার ওঁরাওয়ের মদ খেয়ে থানায় ঢোকা, নারীকর্মীদের গালাগালি দেওয়া, এএসআই-কে মারধরের অভিযোগ তাঁরা পেয়েছেন। ঘটনার তদন্তের স্বার্থে সাব-ইনস্পেকটর কেদার এঁরাওকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ব্রেথ অ্যানালাইজারের সহায়তায় এটি প্রমাণিত হয়েছে যে তিনি মদ খেয়ে এসেছিলেন। বাকি এখনও তদন্তসাপেক্ষ, তবে মদ্যপানবিরোধী জামুই পুলিশ তাঁকে বরখাস্ত করতে দেরি করেনি।