জয়পুরের মীনা কি ধানির পুনানা গ্রামের একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এখানকার বাসিন্দা কমলেশ মীনাকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে মন্দির ভাঙচুরের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয়দের অভিযোগ, আকণ্ঠ মদ্যপান করে মন্দিরে হানা দিয়ে কয়েকশো বছরের পুরনো বিগ্রহ ভাঙচুর করেছিল সে। কমলেশের সঙ্গে এই ভাঙচুরের কাজে যোগ দিয়েছিল মাখন লাল নামে আরও এক ব্যক্তি। তবে তাকে এখনও পর্যন্ত পাকড়াও করা যায়নি। ফলে এখন দ্বিতীয় অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
advertisement
স্ত্রী-র প্রতি ক্ষোভ থেকেই চরম পদক্ষেপ:
কমলেশকে গ্রেফতার করার পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। জেরায় কমলেশের দাবি যে, বন্ধু মাখন সিং তাকে জানিয়েছিল যে, তার স্ত্রী খুবই ধার্মিক মানুষ। প্রতিদিন পুজো করেন মাখনের স্ত্রী। যেখানে পূজা-পাঠের উপর একেবারেই বিশ্বাস ছিল না মাখন সিংয়ের। এমনকী, স্ত্রী যখন উপোস করতেন বা ব্রত রাখতেন, তখন মাখন সিং নিজের স্ত্রীর কাছ পর্যন্ত ঘেঁষতে পারত না। যার জেরে দু’জনের মধ্যে প্রতিদিনই ঝগড়া-ঝামেলা হত। আর রোজকার এই ঝামেলায় তীব্র ক্ষোভে বন্ধুকে নিয়ে অভিযুক্ত মন্দির ভাঙচুর করেছে।
কয়েকশো বছরের পুরনো বিগ্রহ ভাঙচুর:
অভিযুক্ত কালু বাবা মন্দির (Kalu Baba Temple) ভাঙচুর করেছে। মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত শত বছরের পুরনো বিগ্রহ আছড়ে ভেঙে ফেলেছে তারা। প্রসঙ্গত এই মন্দির খুবই জনপ্রিয়। প্রত্যেক শুক্রবার এখানে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়। কিন্তু ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রত্যক্ষদর্শীরা দেখেন যে, দুই অভিযুক্ত মিলে মন্দিরে ভাঙচুর চালাচ্ছে। একজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্য জনের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।