পুলিশ সূত্রে খবর, ক্রাইম ব্রাঞ্চ এবং মাঝৌলি থানার যৌথ অভিযানে দুটি বিলাসবহুল গাড়ি থেকে প্রায় ৬৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১৪ লক্ষ টাকা। ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ৩ জন মহিলা। ধৃতরা প্রত্যেকেই সিহোরা তহসিলের বাসিন্দা। ওড়িশা থেকে গাঁজা এনে কাটাঙ্গির খেলাবন লোধির কাছে পাচার করার কথা ছিল তাঁদের।
advertisement
ধৃতরা হলেন সত্যকলা খারে, কাঞ্চন ঠাকুর, মমতা বর্মণ ওরফে মুন্নি, সৌরভ খারে, সোনু বর্মণ, লখন বর্মণ এবং দীপক লোধি। পুলিশ জানিয়েছে, এই দলের পাণ্ডা সত্যকলা খারে। তিনি আন্তঃরাজ্য গাঁজা পাচারকারী খেলাবন লোধির সঙ্গে হাত মিলিয়ে গাঁজা পাচারের কারবার চালান। পুলিশের নজর এড়াতে মহিলাদেরও দলে টেনেছিলেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।
ক্রাইম ব্রাঞ্চের এএসপি প্রদীপ শেণ্ডে গোপন সূত্রে খবর পান, দুটি গাড়িতে করে বিপুল পরিমান গাঁজা আনা হচ্ছে। এরপরই অভিযানে নামে পুলিশ। মাঝৌলি থানা ইনচার্জের নেতৃত্বে সুহার নদীর কাছে শুরু হয় চেকিং। কিছুক্ষণের মধ্যেই সাদা একটি রঙের এক্সইউভি এবং একটি সুইফট গাড়ি ঢোকে। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থামায় পুলিশ। সামনের সিটে বসা এক মহিলা দাবি করেন, পরিবারের সবাই মিলে প্রয়াগরাজে কুম্ভ স্নানে গিয়েছিলেন তাঁরা। খুব ক্লান্ত। তাঁদের যেন ছেড়ে দেওয়া হয়।
সত্যকলা গাড়ির মহিলাদের তাঁর বোন এবং মেয়ে হিসেবে পরিচয় দেন। অন্যদের আত্মীয় বলে দাবি করেন। কিন্তু পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। এক্সইউভি থেকে ২৭টি প্যাকেট এবং সুইফট গাড়ি থেকে ৪৩টি প্যাকেট গাঁজা উদ্ধার করা হয়। মোট ৬৬ কেজি ৬৯০ গ্রাম গাঁজা। বাজারে যার দাম প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা। ধৃতদের কাছ থেকে ৬টি মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, দুটি গাড়িই খেলাবন সিং লোধির। তবে অন্য কারও নামে কেনা। ওড়িশা থেকে গাঁজা নিয়ে তাঁরা মধ্যপ্রদেশে আসছিলেন। গাঁজা কেনা ও পাচারের জন্য সত্যকলাকে টাকা দিয়েছিলেন খেলাবন লোধি।