যাঁরা নিয়মিত দূরপাল্লার ট্রেনে যাত্রা করেন তাঁরা লক্ষ করে থাকবেন একটি ট্রেনে নির্দিষ্ট ক্রমানুসারে সাধারণ কোচ, স্লিপার কোচ এবং এসি কোচ সাজানো থাকে। সাধারণত প্রথম এবং শেষদিকে থাকে সাধারণ বগিগুলি। তারপর থাকে সেকেন্ড ক্লাস স্লিপার কোচ। একেবারে মাঝখানে থাকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচগুলি। কিন্তু কেন এমন বিন্যাস থাকে! আমরা অনেকেই জানি না।
advertisement
সম্প্রতি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেনের এই কামরা বিন্যাস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা। সেই পরিসরে নানা রকম উত্তরও দিয়েছেন তাঁরা। দেখে নেওয়া যাক আসলে কী ভাবেন ভারতের আম-জনতা।
আরও পড়ুন: পুজোর মুখেই চরম দুঃসংবাদ পেলেন অনুব্রত মণ্ডল! হাজার চেষ্টাতেও হল না সুরাহা
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘সাধারণ কোচে সবচেয়ে বেশি ভিড় থাকে। ট্রেনের উভয় প্রান্তে সেই কোচগুলি থাকে যাতে প্ল্যাটফর্মের মাঝখানে যাত্রীদের ভিড় না হয়। এই ব্যবস্থা অন্য কোচের যাত্রীদের অসুবিধা কম করতে পারে। তাঁরা সহজে ট্রেনে ওঠা, নামা করতে পারেন।’
অন্য একজন ব্যবহারকারী, শুভম তিওয়ারি আবার বলেছেন, ‘সাধারণ কোচগুলি সাধারণত স্লিপার এবং এসি কোচের তুলনায় বেশি যাত্রী নিয়ে চলে, ভাড়াও অনেক কম। তাই ট্রেনের একেবারে সামনে এবং পিছনে এই অংশের যাত্রীদের তুলে দেওয়া গেলে মাঝখানে উচ্চ শ্রেণীর যাত্রীদের আরামদায়ক পরিষেবা দেওয়া সহজ হতে পারে। এই ব্যবস্থা থেকে এটা নিশ্চত করা যা যে, উচ্চ-শ্রেণীর যাত্রীদের কম সমস্যা হবে। তাছাড়া, বেশিরভাগ রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম বা ওভারব্রিজ থাকে মাঝখানে। ট্রেন থেকে নেমেও যাতে উচ্চশ্রেণীর যাত্রীদের অসুবিধা না হয়, সেটাই মাথায় রাখা হয় রেলের ক্ষেত্রে।’
আরও পড়ুন: এসএসসি-তে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত, ৬ নভেম্বর থেকে কাউন্সিলিং? কী জানাল কমিশন
কিন্তু আসল ঘটনাটা কী?
রিপোর্ট বলছে, ট্রেনের মাঝখানে এসি কোচ রাখার কারণ অবশ্যই এসি কামরার যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য বাড়ানো। সাধারণত রেল স্টেশনগুলির মাঝখানে বাইরে বেরোনোর দরজা থাকে। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এটা করা হয়। যাতে মালপত্র বয়ে নিয়ে যেতে কোনও সমস্যা না হয়।