ভারতের বর্তমান জাতীয় পতাকা কিন্তু একাধিকবার পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এসেছে। ইতিহাস ঘাটলে জানা যায় ১৮৮৩ সাল থেকে ১৭ বার বিবর্তিত হয়েছে ভারতের জাতীয় পতাকা। শুরুর দিকে জাতীয় পতাকা একেবারেই অন্যরকম দেখতে ছিল। কখনও পতাকায় লাল, হলুদ এবং সবুজ রং ব্যবহারও হয়েছিল। দীর্ঘ সময় কোনও নির্দিষ্ট পতাকা ছিল না।
advertisement
পরবর্তী কালে ১৯২১ সালে মহাত্মা গাঁধীর উপস্থিতিতে কংগ্রেসের বৈঠকে দেশের নির্দিষ্ট জাতীয় পতাকার প্রস্তাব পেশ করা হয়। সেই সময়ে পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া পতাকার ডিজাইন তৈরি করেন। প্রথম পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া জাতীয় পতাকার নকশা অর্থাৎ ডিজাইন তৈরি করেন। তিনি জাতীয় পতাকাটির নকশা তৈরি করেন এবং পয়লা এপ্রিল ১৯২১-এ বিজয়ওয়াড়া শহরে মহাত্মা গান্ধীর কাছে এটি উপস্থাপন করেন।
পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়ার তৈরি জিজাইনে গেরুয়া, মাঝে সাদা এবং একেবারে নিচে সবুজ রং ছিল। মাঝে থাকে চরকা। গেরুয়া রং ত্যাগের প্রতীক, সাদা রং সত্য এবং শান্তির প্রতীক এবং সবুজ রং বিশ্বাস ও প্রগতির প্রতীক। এবং মাঝে থাকা চরকাকে ভারতের অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন ও দেশবাসীর শ্রমশীলতার প্রতীক হিসেবে মনে করা হয়।
এরপর পরবর্তীকালে মাঝে সাদা অংশে ২৪টি দণ্ডযুক্ত অশোকচক্র স্থান পায়। মিসেস সুরাইয়া বদর-উদ-দিন ত্যাবি কর্তৃক জমা দেওয়া স্বাধীন ভারতের জাতীয় পতাকার নকশা অবশেষে ১৭ ই জুলাই ১৯৪৭ তারিখে পতাকা কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত এবং গৃহীত হয়।
আরও পড়ুনঃ দলের ব্যাটিং নিয়ে অখুশি রোহিত শর্মা! বাংলাদেশ সিরিজের আগে বড় সিদ্ধান্ত? জানুন বিস্তারিত
তবে জাতীয় পতাকার প্রথম ডিজাইন তৈরি করেছিলেন পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়াই। তিনি ১৮৭৬ সালের ২ আগস্ট অন্ধ্রপ্রদেশের মাছিলিপত্তনমের কাছে ভাটলাপেনুমারুর একটি তেলেগু ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন । তিনি ছিলেন একজন ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং মহাত্মা গান্ধীর একজন কট্টর অনুসারী। ৪ জুলাই ১৯৬৩ সালে প্রয়া হন তিনি। ২০০৯ সালে সালে তাকে স্মরণ করার জন্য একটি ডাকটিকিট জারি করা হয়েছিল।