যখন ব্যাঙ্কের কর্মীই জালিয়াত, তখন গ্রাহক কীভাবে আর নিরাপদ থাকবেন! জানা গিয়েছে যে যোধপুরের আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ম্যানেজার এবং ক্যাশিয়ার একসঙ্গে তাঁদের ব্যাঙ্কের গ্রাহকের সঙ্গে জালিয়াতি করেছেন। তাঁরা একজন কৃষকের নামে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের (কেসিসি) সীমা বাড়িয়ে ৭.১৯ লাখ টাকা তুলে নিয়েছেন। ব্যাঙ্কে নতুন ম্যানেজার নিযুক্ত হওয়ার পর এই জালিয়াতির বিষয়টি প্রকাশ পায়। নতুন ম্যানেজার অ্যাকাউন্টটি পরীক্ষা করে দেখেন এবং তিনি সেই কৃষককে এই বড় লেনদেনের কথা জানান। হতবাক কৃষক যখন তদন্ত করে দেখেন, তখন তিনি জানতে পারেন যে, ব্যাঙ্কের রেকর্ডে তাঁর মোবাইল নম্বরও পরিবর্তন করা হয়েছে, যাতে তিনি লেনদেনের কোনও বার্তা না পান।
advertisement
কৃষক মামলা দায়ের করেন –
কৃষকের অজান্তে এই ঘটনা ঘটেছে। ফলে, তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন, বিষয়টি যোধপুর গ্রামীণ এলাকার খেদাপা থানায় পৌঁছেছে। কৃষক ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ম্যানেজার এবং ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে থানায় একটি রিপোর্ট দায়ের করেছেন। ব্যাঙ্ক এবং পুলিশ উভয়ই বিষয়টি তদন্ত করছে যে, এই টাকা কোথায় এবং কী উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। এই ঘটনাটি সকলকে হতবাক করেছে। কারণ যে প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মানুষ তাদের কষ্টার্জিত অর্থ নিরাপদে থাকার আশা করে, সেই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদেরই এই ধরনের কাজ করতে দেখা গিয়েছে।
৩৩ বিঘা জমিতে চাষাবাদ, কেসিসি সীমা ছিল ৮ লাখ টাকা –
ধনারির বাসিন্দা করণ সিং রাজপুতের ৩৩ বিঘা জমি রয়েছে। সেখানে তিনি জিরে, মুগ, সরষে চাষ করেন। প্রায় ৯ বছর আগে তিনি ধনারি কালা গ্রামে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কে একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। সেখানে তিনি নিজের মোবাইল নম্বর দিয়েছিলেন। একই ব্যাঙ্কে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে তাঁর ৩৩ বিঘা জমিতে ৮ লাখ টাকার লোনের সীমাও তৈরি করা হয়েছিল। ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ম্যানেজার এবং ক্যাশিয়ার মিলে কৃষক করণ সিং রাজপুতের নামে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের (কেসিসি) সীমা বাড়িয়ে ৭.১৯ লাখ টাকা তুলে নিয়েছেন। এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে যে, সেই ম্যানেজার আরও কত কৃষককে প্রতারণা করেছেন। কৃষক খেদাপা থানায় একটি রিপোর্ট দায়ের করেছেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।