২০২৩ সালের হিসেব অনুযায়ী, ভারতীয় জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৬৬৫ মিলিয়ন মানুষের কাছে আজও পৌঁছয়নি ইন্টারনেট। মঙ্গলবার ইন্টারনেট অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া এবং কান্তারের যৌথ উদ্যোগে চালানো সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ‘গ্রামীণ ভারতের প্রায় অর্ধেক মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না। তবে এই সংখ্যাটা কমছে। তাঁদের সামনে নতুন নতুন ক্ষেত্র খুলে যাচ্ছে’।
advertisement
আরও পড়ুন- বিষাক্ত সাপের কামড়েও মরে না বেজি! কেন সাপ-নেউলের শত্রুতা! অবাক করা কারণ
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১ সালে ইন্টারনেট ব্যবহার করতেন না ৭৬২ মিলিয়ন ভারতীয়। ২০২২ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৭১৪ মিলিয়নে। অর্থাৎ এক বছরের মধ্যে বহু মানুষ ইন্টারনেটের গুরুত্ব বুঝেছেন। ব্যবহার শুরু করেছেন।
কিন্তু ভারতের বিপুল সংখ্যক মানুষের আজও ইন্টারনেট বিমুখ থাকার কী কারণ? সমীক্ষায় একাধিক উত্তর সামনে এসেছে। ২৩ শতাংশ মানুষ বলছেন, ‘ইন্টারনেট ব্যবহার খুব কঠিন কাজ’।
২২ শতাংশ জানিয়েছেন, ‘এতে কী বাড়তি সুবিধা মিলবে আমরা জানি না’। অর্থাৎ সচেতনতার অভাব। ১৭ শতাংশ বলেছেন, ‘ইন্টারনেট ব্যয়বহুল। এত টাকা দিয়ে ব্যবহার করতে পারব না’।
তবে সারা ভারত জুড়ে ৮০০ মিলিয়নের বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। ২০২৩ সালের হিসেব অনুযায়ী, সক্রিয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮২০ মিলিয়ন, অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার ৫৫ শতাংশের বেশি।
দেশে এই সংখ্যা প্রতি বছর ৮ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্রামীণ ভারতের ৪৪২ মিলিয়ন মানুষের ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে বলে উঠে এসেছে সমীক্ষায়। যা মোট ব্যবহারকারীর ৫৩ শতাংশ। তবে করোনা পরবর্তী সময়ে গ্রামে ইন্টারনেট সংযোগ বৃদ্ধির হার কমেছে।
সমীক্ষায় আরও দেখা গিয়েছে, ৫৭ শতাংশ ভারতীয় মাতৃভাষায় কনটেন্ট পড়তে বা দেখতে পছন্দ করেন। এর মধ্যে তামিল, তেলেগু এবং মলয়ালম ভাষাভাষীর মানুষ অন্যতম।
এতদিন ঝাড়খণ্ড, বিহারের মতো রাজ্যের ইন্টারনেটের ব্যবহার তুলনামূলকভাবে কম ছিল। বর্তমানে সেখানেও যথাক্রমে ১২ শতাংশ এবং ১৭ শতাংশের গড় বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন- ভারতীয় নোটে মোট ‘কতগুলি’ ভাষা আছে বলুন তো…? উত্তর শুনলে চমকে যাবেন, গ্যারান্টি
ইন্টারনেটে তিনটি বিষয়ের উপর গড় ভারতীয়ের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি। সেগুলো হল ওটিটি (৭০৭ মিলিয়ন ব্যবহারকারী), কমিউনিকেশন (৬২১ মিলিয়ন ব্যবহারকারী) এবং সোশ্যাল মিডিয়া (৫২১ মিলিয়ন ব্যবহারকারী)। লাক্ষাদ্বীপ বাদে সমস্ত রাজ্য এবং ভারতের ৯০ হাজার পরিবারের উপর সমীক্ষার ভিত্তিতে এই ফলাফল সামনে এসেছে।