সোনিপত, হরিয়ানা: বিয়ে এখনও, বিশেষ করে, ভারতীয় সমাজে খুবই জটিল এক বিষয়। পারিবারিক অনুমোদন এক্ষেত্রে এমন তীব্রভাবে কাজ করে যে অনেকক্ষেত্রেই ভালবাসার মানুষকে বিয়ে করার জন্য পরিবার ছাড়তে হয়। এরই সঙ্গে যুক্ত রয়েছে অনার কিলিংয়ের ব্যাপারও। তবে, হরিয়ানার প্রীতির হত্যা কাণ্ড অনার কিলিংই কি না, তা এখনও তদন্তের আওতায় রয়েছে।
advertisement
জানা গিয়েছে যে, হরিয়ানার সোনিপতে এক ভাই তাঁর দিদিকে গুলি করে হত্যা করেছেন। ঘটনার পর বাদওয়াসনি গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পরমজিৎ নামে এক যুবক তাঁর দিদি প্রীতিকে লক্ষ্য করে পাঁচটি গুলি চালান, যার ফলে প্রীতি ঘটনাস্থলেই মারা যান। ঘটনার খবর পাওয়ার পর, সোনিপত পুলিশ এবং সদর থানার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টির তদন্ত শুরু করেন।
ঘটনাটি হরিয়ানার সোনিপতের বাদওয়াসনি গ্রামের। পরমজিৎ নামে এক ব্যক্তি তাঁর দিদি প্রীতিকে পাঁচটি গুলি করে হত্যা করেছেন, তাও সবার সামনে রাস্তায়। প্রীতির বিয়ে প্রায় ৪ বছর আগে পানিপথেতে ছাজু গড়ি গ্রামে হয়েছিল, সেই বিয়ে থেকে তাঁর একটি ছেলেও রয়েছে। কিন্তু তিনি প্রায় ১ মাস ধরে তাঁর বাদওয়াসনিতে তাঁর বাপের বাড়িতে বসবাস করছিলেন। বুধবার বিকেলে, প্রীতি এবং তাঁর ভাই পরমজিতের মধ্যে কোনও বিষয় নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। এক সময়ে প্রীতি তাঁর ভাইয়ের হাত থেকে আত্মরক্ষা করতে রাস্তায় দৌড়তে শুরু করেন। কিন্তু তাতে শেষরক্ষা হয়নি। অভিযোগ, পরমজিৎ তাঁকে পিছন থেকে গুলি করেন এবং প্রীতি ঘটনাস্থলেই মারা যান। হত্যার নেপথ্য কারণ হিসাবে প্রীতির প্রেমের গুজব ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামে, বলা হচ্ছে যে প্রীতি তাঁর এক ইনস্টাগ্রাম বন্ধুকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে চেয়েছিলেন।
বাদওয়াসনি গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডের খবর পাওয়ার পর, সোনিপত পুলিশ, সদর থানা এবং এফএসএল টিমের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ তাঁদের হেফাজতে নিয়ে পোস্টমর্টেমের জন্য সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যান এবং পুলিশ মামলার তদন্ত শুরু করে।
ডিসিপি কুশল সিং এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমরা খবর পেয়েছি যে বাদওয়াসনি গ্রামে প্রীতি নামে এক মহিলাকে খুন করা হয়েছে। প্রীতিকে তাঁর ভাই গুলি করে হত্যা করেছেন। ওই মহিলা বিবাহিতা ছিল এবং ১ মাস ধরে তাঁর বাপের বাড়িতে ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে, দুই ভাইবোনের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ চলছিল। তবে গুলি চালানোর আসল কারণ জানা যায়নি।’’