এবার ২০২৪ কে বিদায় জানিয়ে ২০২৫ সালকে বরণ করে নেবে নেওয়ার পালা। আর সেই সময়ের অপেক্ষায় বিশ্ববাসী।নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে সাধারণত আতসবাজি, ফানুস আর পার্টি বা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। কিন্তু এমন কিছু দেশ আছে যাদের নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ভিন্ন সংস্কৃতি ভিন্ন উপায়কে বেছে নেওয়া হয়। বেশ কিছু দেশে আছে নববর্ষ উদযাপনের অদ্ভুত রীতি।
advertisement
স্পেনের নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয় ১২ টি আঙুর খাওয়ার মাধ্যমে। ৩১ ডিসেম্বর মধ্যরাত অর্থাৎ রাত বারোটা বাজার ঠিক আগের মুহূর্তে মাদ্রিদের প্লাজা ডি এস্পানায় জড়ো হয় অসংখ্য মানুষ। বছরের শেষ ১২ সেকেন্ডে প্রতি সেকেন্ডে একটি করে আঙুর খাওয়া হয়। এভাবেই নতুন বছরকে বরণ করে নেয় স্প্যানিশরা। যা আগামী বছরের বারোটি মাসকে সুখকর হিসেবে মনে করা হয়।
একইভাবে আজব রীতির মাধ্যমে নববর্ষ পালন করা হয় ইকুয়েডেরে। সেখানে কাকতাড়ুয়া পোড়ানোর মধ্য দিয়ে নতুন বছরে খারাপ ভাগ্যকে বিদায় দেন ইকুয়েডরবাসীরা। আজব উপায়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানায় ডেনমার্কের অধিবাসীরাও। তারা নববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে প্রতিবেশীদের বাড়ির সামনে বাসনপত্র ছোড়াছুড়ি করেন। তাদের বিশ্বাস, যার বাড়ির সামনে সবচেয়ে বেশি বাসন থাকবে, সে সবচেয়ে বেশি সৌভাগ্যবান। কারণ তার সবচেয়ে বেশি ভালো বন্ধু আছে।
নতুন বছরকে নিজের মত সাজিয়ে নিতে বিশেষ পদ্ধতিতে পোশাক পোশাকের রং এর ভিত্তিতে উদযাপন করেন দক্ষিণ আমেরিকার অধিবাসীরা। তারা বিশ্বাস করে, ব্রা- এর রঙের সঙ্গে ভাগ্যের সম্পর্ক আছে। সেজন্য লাল রং ভালবাসার প্রতীক হিসাবে যার ভালবাসার মানুষের প্রয়োজন, তিনি লাল অন্তর্বাস পরেন। শান্তি প্রয়োজনে সাদা ও যার সম্পদ প্রয়োজন তিনি পরেন সোনালি রঙের অন্তর্বাস।
সুইৎজারল্যান্ডে বর্ষবরণে আইসক্রিম খেয়ে ও মেঝেতে ফেলে নতুন বছরকে স্বাগত জানায় তারা।
Julfikar Molla






