সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট @gunsnrosesgirl3 এবং ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট livin_lavina_loca থেকে পোস্ট করা হয়েছে দুটি ভিডিও। নিমেষের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, রেললাইনের প্রায় গায়েই রয়েছে কাফেটি। আর সেই কাফেতে বসে খাবার উপভোগ করে সময় কাটাচ্ছেন তরুণী। এরপর আচমকাই রীতিমতো তাঁর গায়ের উপর দিয়ে হুড়মুড়িয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে একটি ট্রেন।
advertisement
দেখে নেওয়া যাক এই ভিডিওটিও –
বিখ্যাত এই রাস্তায় সারি সারি বাড়ির গা বেয়েই চলে গিয়েছে রেললাইন। ঘনবসতিপূর্ণ ওই সংকীর্ণ গলিতেই বাড়িঘরের পাশাপাশি গায়ে গায়ে রয়েছে রেস্তরাঁ-কাফে কিংবা দোকানপাটও। আর সেই সংকীর্ণ জায়গা দিয়েই ট্রেন যাতায়াত করে। ‘ভিয়েতনাম অনলাইন’ নামে একটি ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, হ্যানয় ট্রেন স্ট্রিট আদতে ১৯০২ সাল নাগাদ ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনকালে তৈরি করা হয়েছিল। ট্রান ফু এবং ফাং হাং স্ট্রিটের ঠিক মধ্যবর্তী স্থানে রয়েছে এটি। আবার বিখ্যাত হোয়ান কিয়েম হ্রদের থেকে মাত্র দশ মিনিটের হাঁটাপথে এর অবস্থান। রাস্তার বেশির ভাগ অংশ জুড়ে রয়েছে রেলরোড ট্র্যাক। যার দু’পাশে হাঁটার রাস্তা ভয়ঙ্কর রকম সরু। আর এই কারণেই তা পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ফটোগ্রাফারদের জন্য তো এই স্থান একেবারে স্বর্গ! এখানেই শেষ নয়, হ্যানয় ট্রেন স্ট্রিট কিন্তু ‘২০২৩ সালে বিশ্বের সেরা দশ পর্যটক আকর্ষণ’ বিষয়ক সিএনএন-এর তালিকায় স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে। তবে এই সমস্ত কিছু সত্ত্বেও এই এলাকায় পর্যটকরা যাতে যেতে না পারেন, তার জন্য কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভিয়েতনাম সরকার। যার জেরে বসানো হয়েছে ব্যারিকেডও।
আরও পড়ুন- আজও রাজ্যে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস, সোমবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন, ফিরবে শীতের আমেজ
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভিয়েতনামের রাজধানী প্রশাসন ট্রেন স্ট্রিট সাইটে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তাদের দাবি, নিরাপত্তার কথা ভেবেই এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। শহরের পর্যটন দফতর জানিয়েছে, নির্দিষ্ট এই ঘিঞ্জি এলাকায় হামেশাই ভিড় জমান পর্যটকরা। ফলে যান চলাচল ব্যাহত হয়। সেই সঙ্গে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এর ফলস্বরূপ ওই এলাকায় পর্যটক বিশেষ করে বিদেশি পর্যটকদের না নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পর্যটন সংস্থাগুলিকে।
যদিও ওই রুটে আদৌ দুর্ঘটনা বেড়েছে কি না, তা স্পষ্ট ভাবে বলা হয়নি। তবে সেপ্টেম্বর মাসে একটি ঘটনার কারণে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। রেল লাইনের একটি সেকশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আসলে ওই সময় কোরিয়ার এক পর্যটক রেলওয়ে অ্যান্ড কফি স্ট্রিট এলাকায় ছবি তুলতে গিয়ে ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছিলেন। যার জেরে এলাকায় বসানো হয়েছে ব্যারিকেড।