ইন্ডিয়া টুডে-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, বিয়ের অনেক আগে থেকেই খুড়তুতো ভাই কল্পেশের সঙ্গে প্রেম ছিল পায়েলের। কিন্তু পায়ের পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। ভাবিকের সঙ্গে পায়েলের বিয়ে দেন তাঁরা। এরপরই দু’জনে মিলে ভাবিককে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
বিয়ের পর বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন পায়েল। শনিবার তাঁকে আনতে যান ভাবিক। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ কেটে গেলেও শ্বশুরবাড়ি পৌঁছননি। চিন্তায় পায়েলের মা-বাবা ভাবিকের বাড়িতে ফোন করে জানতে চান, জামাইয়ের এত দেরি হচ্ছে কেন? তাঁরা জানান, ভাবিক অনেক আগেই বেরিয়ে গিয়েছেন। এ কথা শুনেই প্রতিবেশীদের নিয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে দেন পায়েলের পরিবারের লোকজন।
advertisement
আরও পড়ুন– ট্রেনের AC কোচে উঠলেন যাত্রী, টিটিই টিকিট চাইতেই বললেন, ‘আমার ভাইপো…’, গোটা কামরা চুপ!
কিছুক্ষণ পর পায়েলের বাড়ির লোকজন দেখেন, ভাবিকের টু-হুইলার রাস্তার ধারে পড়ে রয়েছে। কিন্তু জামাই নেই। হইচই পড়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই বাইকে এক ব্যক্তি যাচ্ছিলেন। একটি এসইউভি তাঁকে পিছন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। তারপর তাঁকে গাড়িতে তুলে পালায়।
সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। মাত্র চারদিন আগে বিয়ে হয়েছে শুনে পুলিশও তৎপর হয়ে ওঠে। তাঁদের সন্দেহ হয় পায়েলকে। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়েন পায়েল। ভাবিককে অপহরণ এবং খুনের কথা স্বীকার করে নেন তিনি।
পায়েলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে কল্পেশ স্বীকার করে নেয়, সুই সঙ্গীকে নিয়ে সে প্রথমে ভাবিককে অপহরণ করে। তারপর এসইউভি-এর ভিতরে শ্বাসরোধ করে খুন করে। পরে ভাবিকের মৃতদেহ একটি ক্যানেলে ফেলে দেয় তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, ভাবিক যখন শ্বশুরবাড়ি আসছিলেন, তখন পায়েল তাঁকে ফোন করে অবস্থান জেনে নিয়েছিলেন। তারপর জানিয়ে দিয়েছিলেন কল্পেশকে। পায়েল জানিয়েছে, সে কল্পেশকে ভালবাসত। কিন্তু বাবা-মা ভাবিকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে দেন। এরপরই সে আর কল্পেশ মিলে ভাবিককে খুনের পরিকল্পনা করে।
পায়েলকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তিন অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার সংশ্লিষ্ট ধারায় হত্যা, হত্যার ষড়যন্ত্র এবং অপহরণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ঘটনার আরও তদন্ত করছে পুলিশ।