আসলে আবু ধাবি থেকে আসা একটি উড়ান থেকে নেমেছিলেন ওই ব্যক্তি। মালপত্র নিয়ে বিমানবন্দরের বাইরে বেরিয়েছিলেন তিনি। গেটে রুটিন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছিল। হাওয়ায় রীতিমতো রেশমি চুল উড়িয়ে হেলতে-দুলতে বেরিয়েও এসেছিলেন। আর তখনই শুল্ক কর্তাদের মনে হয়েছিল যে, ওই ব্যক্তির চুল আসল নয়। আর সন্দেহ দানা বাঁধতেই তাঁর পথ আটকান শুল্ক দফতরের কর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। আর সত্য যখন বেরিয়ে আসে, তখন কার্যত তাঁদের চক্ষু চড়কগাছ!
advertisement
আরও পড়ুন– ‘প্রথম দেখাতেই প্রেম’, কীর্তি চক্র সম্মান হাতে বললেন শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের স্ত্রী
শুল্ক দফতরের কর্তাদের সন্দেহ হয়েছিল যে, ওই ব্যক্তি পরচুলা পরে রয়েছেন। ফলে তাঁর সেই পরচুলা খুলতে শুরু করেন তাঁরা। যে মুহূর্তে পরচুলাটি সরে যায়, দেখা যায়, ওই ব্যক্তির মাথায় রয়েছে টাক। আর মাথার উপরেই রাখা হয়েছে সোনার প্যাকেট। এখানেই শেষ নয়, ওই ব্যক্তির মলদ্বার বা রেক্টামেও ছিল প্রচুর সোনার ক্যাপসুল।
ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ৬৮৬ গ্রাম সোনার ৩টি পাউচ পাওয়া গিয়েছে। একটি পাউচ ছিল পরচুলার তলায়। আর বাকি দু’টো পাউচ ছিল তাঁর মলদ্বারে। মনে করা হচ্ছে, উদ্ধার হওয়ার সোনার মূল্য প্রায় ৫৫ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যেই ১৯৬২ সালের শুল্ক আইনের আওতায় ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আপাতত শ্রীঘরে ঠাঁই হয়েছে তাঁর।
প্রসঙ্গত ডিআরআই তথ্য বলছে, প্রতি বছর দেশে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ টন সোনা পাচার করা হয়। ২০২১-২২ সালে পাচার হওয়া সোনার পরিমাণ ছিল ৮৩৩ কেজি। যার মূল্য প্রায় ৪০৫ কোটি টাকা। যদিও ডিআরআই-এর বিশ্বাস, আসলে যে পরিমাণ সোনা পাচার হয়, এটা তার ১ শতাংশও নয়।