একটা ডেকে ৫২টা তাস থাকে। এই তাস আবার চার ধরণের হয়। স্পেডস, ক্লাবস, ডায়মন্ড এবং হার্টস। প্রতিটায় টেক্কা থেকে ১০ পর্যন্ত কার্ড, সঙ্গে রাজা, রানী এবং গোলাম। অর্থাৎ ৪ ধরণে ১৩টা করে তাস নিয়ে ৫২টা তাসে একটা ডেক। এখন স্পেডস, ক্লাবস এবং ডায়মন্ডের রাজার গোঁফ এবং দাড়ি রয়েছে। কিন্তু হার্টসের রাজার গোঁফ নেই। ব্যাপারটা কী?
advertisement
আরও পড়ুন– ‘বিষয়টা আজই শেষ…’ অভিষেকের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কী বলেছিলেন ঐশ্বর্য? ভাইরাল পুরনো ভিডিও
হার্টসের রাজার গোঁফ গিয়েছে ‘চুরি’: হার্টসের রাজাকে দেখতে অন্য রাজাদের মতো নয় মোটেই। তবে আগে এমনটা ছিল না। তাঁরও একটা জবরদস্ত পাকানো গোঁফ ছিল। রিপোর্ট বলছে, যখন তাসের খেলা শুরু হয়েছিল, তখন হার্টসের রাজারও গোঁফ ছিল। Technology.org ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এখন যে তাস খেলা হয়, পঞ্চদশ শতাব্দীর ফ্রান্সে তার ডিজাইন করা হয়েছিল।
সেই সময় কাঠের ব্লকই ছিল ভরসা। প্রযুক্তি এত উন্নত ছিল না। প্রথমে কাঠের স্ট্যাম্পের মাধ্যমে তাসের ডিজাইন কপি করা হত। তারপর খোদাই করা হত হাতে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কাঠের ব্লকগুলো ক্ষয়ে যায়। ডিজাইনও আবছা হয়ে যায়। আর এখানেই বিপত্তিটা বাঁধে।
দীর্ঘ ব্যবহারে হার্টসের রাজার কাঠের ব্লক ক্ষয়ে গোঁফ উঠে গিয়েছিল। ডিজাইনার অতশত দেখেননি। তিনি ওইভাবেই ছেপে দেন। তখন থেকেই হার্টসের রাজার গোঁফহীন হলেন। এই প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন চলেছিল। শুধু তাই নয়, এখনও কিছু দেশে চলছে। তবে অনেক দেশই তাদের তাসে নিজস্ব ডিজাইন করেছে, অবশ্য মূল ডিজাইনকে অক্ষুন্ন রেখেই। যেমন রাশিয়াতে হার্টসের রাজার পাকানো গোঁফ রয়েছে।
ছিল কুড়ুল হয়ে গেল ছোরা: তবে শুধু গোঁফ, হার্টসের রাজার কুড়ুলটিও এভাবেই হারিয়ে যায়। হ্যাঁ, শুরুতে হার্টসের রাজার হাতে কুড়ুল ছিল। কিন্তু কাঠের ব্লকে সেই ডিজাইনটিও ক্ষয়ে সরু হয়ে গিয়েছিল। টিকে ছিল শুধু কুড়ুলের হাতলটুকু। দেখতে অনেকটা ছোরার মতো লাগত। কালক্রমে তা ছোরায় পরিণত হয়। ডিজাইন দেখলে মনে হবে, রাজা বুঝি নিজেই নিজেকে ছোরা মারছেন। এই কারণে কিং অফ হার্টসকে স্যুইসাইড কিং-ও বলা হয়।