সম্প্রতি নেটদুনিয়ায় একটি আশ্চর্যজনক ভিডিও সামনে এসেছে, যেখানে আমাজন রেইনফরেস্টের একটি জলস্রোতের মধ্য দিয়ে এক বিশাল অ্যানাকোন্ডাকে চলতে দেখা যাচ্ছে। ফুটেজটি ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই এর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ফুটেজটি হেলিকপ্টার থেকে তোলা বলে মনে হয়, তার আওয়াজও পাওয়া যাচ্ছে। ক্লিপটিতে বিশাল সাপটিকে সবুজে ঘেরা জলাশয়ের মধ্য দিয়ে চলাফেরা করতে দেখা গিয়েছে। X-এর এক ইউজার এই ক্যাপশন-সহ অনলাইনে ভিডিওটি পোস্ট করেছেন, ‘‘আবারও, অ্যামাজনের জঙ্গলে একটি বড় অ্যানাকোন্ডা সাপ দেখা গেল।’’
advertisement
আরও পড়ুন– পাক এয়ারবেসে মিসাইল হামলা ! ভারতের বারাক-৮ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম কতটা শক্তিশালী জেনে নিন
কিছু দর্শক একদিকে যেমন প্রশ্ন তুলেছেন যে ভিডিওটি কি এআই-এর সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে, অন্যরা তেমন আবার এই বিরল দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেন।
অ্যানাকোন্ডা সাধারণত আমাজনের বনের গভীরে পাওয়া যায়। এরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং ভারি সাপের প্রজাতি হিসেবে পরিচিত, যাদের ওজন ৯০ কেজিরও বেশি। এই বিশাল সরীসৃপ অবশ্য বিষাক্ত নয়, এরা ২০ ফুটেরও বেশি লম্বা হতে পারে।
অ্যানাকোন্ডারা বেশিরভাগই জলাভূমি, ধীর গতির স্রোতে বাস করে। সাপগুলো সহজেই তাদের শিকারকে কুণ্ডলী পাকিয়ে মেরে ফেলতে পারে। ভয়ঙ্কর প্রাণী হিসেবে তাদের কুখ্যাতি থাকা সত্ত্বেও অ্যানাকোন্ডারা সাধারণত লাজুক প্রকৃতির এবং মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলে।
কয়েক মাস আগেও, একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে যেখানে ব্রাজিলে একদল পর্যটককে একটি অ্যানাকোন্ডার ছবি এবং ভিডিও তুলতে দেখা গিয়েছে। সাপটিকে জলের মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে চলতে দেখা গিয়েছে, যা দর্শকদের আতঙ্কিত এবং বিস্মিত করে তুলেছে।
ইনস্টাগ্রামে ইনসাইড হিস্টরি নামের একটি পেজ থেকে ক্লিপটি শেয়ার করা হয়েছে। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘‘ব্রাজিলের পর্যটকরা সম্প্রতি খাবার খেয়ে উঠে একটি বিশাল অ্যানাকোন্ডাকে নদীর মধ্য দিয়ে যেতে দেখেছেন।’’
চলতি এপ্রিলের শুরুতে, উইল স্মিথ আয়োজিত ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সিরিজের শ্যুটিংয়ের জন্য একটি অভিযানের সময় অ্যামাজন রেইনফরেস্টের গভীরে আগে কখনও দেখা যায়নি এমন একটি প্রজাতির অ্যানাকোন্ডা আবিষ্কৃত হয়েছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল বামেনোর প্রত্যন্ত অঞ্চলে।
আদিবাসী ওয়াওরানি শিকারীদের সঙ্গে, ক্যুইনসল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ব্রায়ান ফ্রাইয়ের নেতৃত্বে বিজ্ঞানীদের একটি দল ১০ দিন ধরে অ্যামাজনের কিছু কুমারি এলাকায় ঘোরাফেরা করেছিল। এই সময়ে অ্যানাকোন্ডাকে অগভীর জলে দেখা গিয়েছিল, যা তাদের পছন্দের আবাসস্থলগুলির মধ্যে একটি। ওয়াওরানি শিকারীদের এই আবিষ্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, কারণ জঙ্গল এবং এর বন্যপ্রাণ সম্পর্কে তাদের গভীর ধারণা এর সহায়তা করেছিল।