জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, যাত্রীদের সঙ্গে মোবাইলে লুডো খেলার সময়ই তাঁদের ফোনের পাসওয়ার্ড দেখে নিত অভিযুক্ত যুবক। তারপর মাদক মেশানো পানীয় বা খাবার খাইয়ে অচেতন করে ফোন, টাকাপয়সা, এটিএম কার্ড, মূল্যবান জিনিসপত্র লুঠ করে পালাত। পুলিশ জানিয়েছে, বিহারগামী ট্রেনই ছিল অভিযুক্তর টার্গেট। সাধারণত বৈশালী এক্সপ্রেস কিংবা সম্পূর্ণ ক্রান্তি এক্সপ্রেসেই উঠত। স্লিপার কিংবা জেনারেল কামরায় ভ্রমণ করত। তারপর যাত্রীদের সঙ্গে আলাপ, ফোনের পাসওয়ার্ড হাতানো, মাদক মেশানো খাবার এবং শেষ লুঠ।
advertisement
পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে যাত্রীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব তারপর লুঠ, এই ছিল মহম্মদ সগীরের কারবার। একাই তিনি এই কাণ্ড ঘটাতেন। অন্য কোনও সঙ্গী ছিল না। এক্সপ্রেস ট্রেনে রিজার্ভেশন করাত। সঙ্গে টিকিটিও রাখত। যাতে কারও কোনও সন্দেহ না হয়। কিন্তু প্রতারণাই ছিল তার আসল কারবার। অভিযুক্ত যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, শুধু নগদ টাকাপয়সা বা মূল্যবান জিনিসপত্র নয়, যাত্রীর সঙ্গে লুডো খেলার ছলে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও ফাঁকা করে দিত অভিযুক্ত। প্রথমেই ফোনের পাসওয়ার্ড দেখে নিতেন। তারপর মাদক খাইয়ে অচেতন করে মোবাইলের এটিএম এবং ইউপিআই পাসওয়ার্ড বদলে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিত।
মহম্মদ সগীর বিহারের দ্বারভাঙ্গার বাসিন্দা। বর্তমানে গাজিয়াবাদের অঙ্কুর বিহার এলাকায় থাকত। ধৃতের কাছ থেকে ৮টি মোবাইল ফোন, দুটি আধার কার্ড, নেশার ওষুধ, একটি ব্যাগ এবং নগদ ৬৭,১৫০ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। জিআরপি-এর সিও সুদেশ গুপ্তা জানিয়েছেন, গাজিয়াবাদের অঙ্কুর বিহার এলাকার মহম্মদ সগীর গত দু’বছরে ২০টিরও বেশি প্রতারণার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। বিহারগামী ট্রেনগুলিকেই টার্গেট করত সে। রিজার্ভেশনও করাতো। তারপর সহযাত্রীদের সঙ্গে আলাপ জমিয়ে মাদক মেশানো খাবার খাইয়ে অচেতন করে তাঁদের লুঠ করত। জানা গিয়েছে, সগীর আগে কখনও ধরা পড়েনি। দু’বছর এহেন কর্মকাণ্ড চালানোর পর এবারই প্রথম জিআরপি জালে ফেলেছে তাকে।