আরও পড়ুন- অন্যদের ফেলে দেওয়া আবর্জনা দিয়েই মাসে ৮ লক্ষ টাকা আয় ! সাফল্যের গল্প শোনালেন মারিয়া
এই লিভ-ইন সম্পর্কের চল রয়েছে রাজস্থান এবং গুজরাতের গারাসিয়া উপজাতির মধ্যে। কেউ যদি এই উপজাতির ঐতিহ্যের দিকে গভীর ভাবে নজর করেন, তাহলে তথাকথিত আধুনিক সমাজের লিভ-ইন রিলেশনশিপের আভাস পাওয়া যাবে। বিয়ে ছাড়াই নিজেদের সঙ্গীর সঙ্গে এক ছাদের তলায় বসবাস করেন তাঁরা। আর সবথেকে বড় কথা হল, পছন্দমতো পুরুষসঙ্গী নির্বাচন করার অধিকার রয়েছে নারীদেরও।
advertisement
মেলা থেকেই শুরু হয় সঙ্গী বাছাই পর্ব:
বিয়ের জন্য এখানে দুই দিন ব্যাপী মেলা বসে। নারী-পুরুষরা এই মেলায় জড়ো হন এবং কাউকে পছন্দ হলে তাঁর সঙ্গে মেলা থেকে পালিয়ে যান। এরপর তাঁরা বিয়ে না করেই একে অপরের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। এই সময়ে তাঁদের একটি সন্তানও জন্মাতে পারে, যা তাঁদের ইচ্ছাতেই হয়ে থাকে। এরপর তাঁরা নিজেদের গ্রামে ফেরেন এবং সেখানে অভিভাবকেরা তাঁদের খুব আড়ম্বরের সঙ্গেই বিয়ে দিয়ে দেন। কিংবা চাইলে বিয়ে না করেও একসঙ্গে থেকে যেতে পারেন তাঁরা।
আরও পড়ুন- উৎসবের মরশুমে কেনাকাটায় ২৬ হাজার টাকা ক্যাশব্যাক, ‘ফেস্টিভ বোনানজা’ চালু করল আইসিআইসিআই
লিভ-ইন সম্পর্কের প্রচলন:
এই উপজাতিতে লিভ-ইন লিভিং-এর প্রথা বহু বছরের পুরনো। প্রচলিত কাহিনি অনুযায়ী, কয়েক বছর আগে পর্যন্ত এই উপজাতির চার ভাই অন্য কোথাও গিয়ে বসবাস শুরু করেন। এর মধ্যে ৩ জন ভারতীয় রীতি অনুযায়ী বিয়ে করলেও এক ভাই বিয়ে না করেই একটি মেয়ের সঙ্গে লিভ-ইন রিলেশনশিপেই থাকতে শুরু করেন। বিবাহিত ওই তিন ভাইয়ের কোনও সন্তান হয়নি। অথচ চতুর্থ ভাইয়ের একটি সন্তান জন্মেছিল। তখন থেকেই এখানে লিভ-ইন রিলেশনশিপের প্রথা শুরু হয়। এ-ও জানা গিয়েছে যে, গারাসিয়া উপজাতির নারীরা ইচ্ছা করলে প্রথম সঙ্গী থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয় বার মেলায় গিয়ে দ্বিতীয় সঙ্গী বেছে নিতে পারেন। এর থেকেই বোঝা যায় যে, ওই উপজাতির নারীরা অনেক স্বাধীনতা পান, যা তথাকথিত আধুনিক সমাজেও পাওয়া যায় না।