আরও পড়ুন- ছবিতে আছে দু'টি বাঘ! দ্বিতীয়টিকে পেতে কালঘাম ছুটেছে ৯৯% মানুষের, পেয়েছেন খুঁজে?
সবুজ বা বাদামী বিয়ার বোতলের পিছনে একটি বিশেষ কারণ রয়েছে। বিজনেস ইনসাইডার জানিয়েছে, বহু বছর আগে মিশরে বিয়ারের বোতল তৈরি করা হতো। এখানে বিয়ার তৈরি করা হতো এবং স্বচ্ছ বোতলে তা পরিবেশন করা হতো। এই সময়, বিয়ার নির্মাতারা লক্ষ্য করেন, সূর্যের আলো যখন এই স্বচ্ছ বোতলগুলিতে প্রবেশ করে, তখন আলোতে উপস্থিত অতিবেগুনি রশ্মির কারণে ভিতরের অ্যাসিডটি দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখায়। এই কারণে বিয়ারে ‘স্কঙ্কি’ (বা পচা ইঁদুরের মতো) গন্ধ বেরোতে শুরু করে। এর ফলে মানুষ বিয়ার খেতে চান না এবং বিয়ার নির্মাতারা বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হন।
advertisement
বিয়ার কোম্পানিগুলো লোকসানে চরম ভুগতে শুরু করলে তারা এই সমস্যা সমাধানের জন্য অনেক পদ্ধতিতেই চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ফল হয়নি। শেষমেশ তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে বিয়ারের বোতলটিকে বাদামী রঙের করার চেষ্টা করেন। দেখা গেল বিয়ারের বোতলের রঙ বদলাতেই আর সূর্যের আলোয় বিক্রিয়া ঘটে গন্ধ বেরোচ্ছে না। বাদামী বোতলে রাখা বিয়ার নষ্ট হয়না কারণ বোতলের তরলে সূর্যের আলো পৌঁছতে পারেনা।
আরও পড়ুন- ভাইরাল ভিডিও: রোদে আগুন স্কুটির সিট, তাতে আস্ত ধোসা বানিয়ে ফেললেন এই ব্যক্তি!
এর কিছু পরে, যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয়, তখন বিয়ার কোম্পানিগুলি আরেকটি সমস্যার মুখোমুখি হয়। সেই সময়ে, বাদামী বোতলের অভাব ছিল বলে কোম্পানিগুলিকে নতুন রঙ বেছে নিতে হয়েছিল। সেই থেকে সবুজ রঙের বিয়ারের বোতল দেখা যায় বাজারে। বিয়ারের ভিতরে সূর্যালোক পৌঁছতে বাধা দিতে আশ্চর্যজনকভাবে কাজ করেছিল সবুজ রঙটি। তাই, সবুজ এবং বাদামী বোতলগুলিই সূর্যালোককে দূরে রাখতে এবং বিয়ারকে তাজা রাখার জন্য এত ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।