ফরিদকোট, পঞ্জাব: কপাল ঠুকে লটারির টিকিট কেটেছিলেন এক কৃষক। মাত্র ২০০ টাকায় দেড় কোটি টাকার পুরস্কার। কপাল জোরে ওই টিকিটই জিতেছে পুরস্কার। কিন্তু আবার ভাগ্যের দোষেই সেই টিকিট হারিয়েছেন বিজয়ী। যদিও এর মধ্যে রয়েছে এক টিকিট বিক্রেতার প্রতারণা। আপাতত প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই ব্যক্তি।
ঘটনাটি পঞ্জাবের ফরিদকোট এলাকার। জানা গিয়েছে, গোলেওয়ালার বাসিন্দা করমজিৎ সিং গত ৪ জুন দমদমা সাহিব তালওয়ান্ডি সাবোর গুরুদ্বারায় গিয়েছিলেন। সেখানেই এক লটারি বিক্রেতার কাছ থেকে ২০০ টাকা দিয়ে একটি লটারির টিকিট কিনেছিলেন। সেই টিকিটের নম্বর ছিল ৮৪১৮১০৫। করমজিতের দাবি, এই টিকিট তিনি তালওয়ান্দি সাবোর নাগাল্যান্ডের সরকার-স্বীকৃত জিন্দাল লটারি বিক্রেতার কাছ থেকে কিনেছিলেন। পুরস্কার মূল্য ছিল ১.৫ কোটি টাকা।
advertisement
আরও পড়ুন– ভিস্তাডোম কোচই পছন্দ যাত্রীদের, পর্যটন ক্ষেত্রে বাড়ছে সম্ভাবনা
করমজিতের দাবি, ২২ জুন ফলাফল ঘোষণার পর তিনি ফরিদকোটের এক লটারি বিক্রেতার কাছে গিয়ে ফলাফল জানতে চান। ওই টিকিট বিক্রেতা করমজিতের টিকিট পরীক্ষা করে জানান, কোনও পুরস্কার পাওয়া যায়নি ওই টিকিটে। একথা শুনে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যান করমজিৎ। এমনকী নিজের টিকিটটিও ওই লটারি বিক্রেতার কাছ থেকে ফেরত নেননি। পরে খবরের কাগজ থেকে জানতে পারেন, আসলে ওই পুরস্কার তিনিই জিতেছিলেন।
আরও পড়ুন- সিংহে গোচর মঙ্গলের, এই কয়েক রাশির সিংহবিক্রম প্রসারিত হবে দিকে দিকে
করমজিতের অভিযোগ ফরিদকোটের টিকিট বিক্রেতা সেদিনই দেখেছিলেন তাঁর নম্বরে লটারি উঠেছে। মিলবে ১.৫ কোটি টাকা। তাই তিনি কৌশলে তাঁকে নিরাশ করেছিলেন এবং টিকিটটি ফেরত দেননি।
যদিও অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন ফরিদকোটের ওই টিকিট বিক্রেতা। তাঁর দাবি, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই এই ব্যবসা করছেন। কেউ পুরস্কার জিতলে তাঁকে মিথ্যে বলে কোনও লাভ হয় না।
এই ঘটনার পর করমজিৎ আবার যান দমদমা সাহিবের লটারি টিকিট বিক্রেতার কাছে। সেখানকার টিকিট বিক্রেতা সতপাল সিং অবশ্য নিশ্চিত করেছেন ৪ জুন ওই নম্বরের টিকিট তিনি গোলেওয়ালার বাসিন্দা করমজিৎ সিংকেই বিক্রি করেছিলেন। এর পরই প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন করমজিৎ। পুরো বিষয়টি জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকেও।