ভিউ-এর লোভ আর ভাইরাল হওয়ার নেশা, এই দুইয়ে মিলে বিপদ ঘনাচ্ছে আরও বেশি। এআই টুল দিয়ে ভিডিও বানিয়ে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কারও ছবি বা ভিডিওর আসল বিষয়বস্তু বদলে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে নকল থিম। এই যেমন গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সমুদ্রের হিংস্র এক তিমি-র সঙ্গে জলে নেমে খেলছেন এক মহিলা। কখনও ডুব দিচ্ছেন, কখনও আবার ভেসে উঠছেন। পর মুহূর্তেই হাততালি, চিৎকারে ফেটে পড়ছেন দর্শকরা।
advertisement
সেই মহিলা, যাঁর নাম জেসিকা। দর্শকদের উচ্ছ্বাসে তিনিও হাসছেন। এর পর এক মুহূর্তে বদলে গেল সব। সেই মহিলা জেসিকার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে হিংস্র তিমি, যার নাম ওরকা। মুহুর্তে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দেয় জেসিকার শরীর!
আরও পড়ুন- শুধু ভারত নয়! বলুন তো, ১৫ অগাস্ট আরও কোন কোন দেশের স্বাধীনতা দিবস? জানেন না ৯৯ শতাংশই !
সেই ভিডিও হয়তো আপনিও দেখেছেন! তবে জেনে রাখুন, ওই ভিডিও আসলে ফেক। ‘প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্ক’-এর সেই ভিডিও আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়েছে সেই ভয়ঙ্কর ভিডিও। সেই ভিডিও আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে তৈরি। জানিয়েছে ‘দ্য স্টার’।
জানা গিয়েছে, ‘প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্ক’ নামে কোনও পার্কের অস্তিত্বই নেই। এমনকী জেসিকা ব়্যাডক্লিফ নামের কোনও প্রশিক্ষক সেখানে খেলাও দেখান না। আর ওরকা! তারও কোনও অস্তিত্ব নেই। ফরেনসিক বিশ্লেষণ বলছে, জেসিকা নামে তরুণীর গলার স্বরও নকল করা হয়েছে।
‘ফোবর্স’ জানিয়েছে, সেই ভিডিও ‘ফেক’। যদিও হিংস্র তিমির আক্রমণের এমন ঘটনা আগে ঘটেছিল। ২০০৯ সালে ওরকার আক্রমণে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ নামে একজন প্রাণ হারান। ২০১০ সালেও দু’জন ট্রেনারের মৃত্যু হয়েছিল। এখন যে নকল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, তা আসলে ওই ঘটনাগুলোর উপর ভিত্তি করে বানানো।