ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো গত বছর এই কাজের জন্য একটি টেন্ডার দিয়েছিল। আনন্দের খবর ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) প্রকৃতপক্ষেই এবার এই ধরনের একটি সিস্টেম তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। 'ফেস রিকগনিশন সিস্টেম আন্ডার ডিসগাইজ' (Face Recognition System Under Disguise), বা এফআরএসডি (FRSD) নামে পরিচিত এই সিস্টেমের মাধ্যমে নকল দাড়ি, গোঁফ, পরচুলা, সানগ্লাস, হেড-স্কার্ফ, মাঙ্কি ক্যাপ বা মাস্ক যা-ই পরা থাকুক না কেন, ব্যক্তিকে সনাক্তকরণ করা সম্ভব হবে।
advertisement
আরও পড়ুন - উপোস থেকে কেক বানাচ্ছেন কারিগর! এবার জন্মষ্টমীর বিশেষ প্রসাদ, গোপালের জন্য তৈরি কেক
আরও পড়ুন - বন্দরের হাত ধরে রাজ্যে আসতে চলেছে বিনিয়োগ, ২৫০ কোটি টাকা এল শালুকখালি প্রকল্পে
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (MoD) সম্প্রতি 'এআই ইন ডিফেন্স' নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যা এফআরএসডি এবং অন্যান্য তিনটি ফেস রিকগনেশন সিস্টেমের কথা জানিয়েছে।
এফআরএসডি
মানুষের চোখের পরিবর্তে, এফআরএসডি এক্ষেত্রে অন্ধকার, কম-রেজোলিউশন সার্ভেইলেন্স ক্যামেরা ফিড দ্বারা ব্যক্তিকে সনাক্ত করতে অ্যালগরিদমের উপর নির্ভর করবে। এই সিস্টেমটি লাইভ ভিডিওতে নজরদারির জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। অন্যান্য সার্ভেইলেন্স ক্যামেরার খামতি মিটিয়ে এই ক্যামেরা অতিরিক্ত নজরদারি যেমন লোক গণনা, জিও-ফেনসিং, ফায়ার ডিটেকশন এবং কলিশন ডিটেকশন করতে সক্ষম।
প্রজেক্ট সিকার
এটি এমন একটি ফেসিয়াল রেকগনিশন সিস্টেম যা ভারতীয় সেনাবাহিনী দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এটি জনসংখ্যা পর্যবেক্ষণ ও নজরদারির কাজ করতে ডিজাইন করা হয়েছে।
প্রজেক্ট সিকার ছাড়াও ভারতীয় সেনাবাহিনী একধরনের সাইলেন্ট সেন্ট্রিও তৈরি করেছে যা সম্পূর্ণরূপে মুখের সনাক্তকরণ করতে সক্ষম। এটি একটি ৩ডি প্রিন্টেড রেল-মাউন্টেট রোবট যা যে কোনও অ্যান্টি-ফিল্ট্রেশন অবস্ট্যাকল সিস্টেমে (AIOS) ইনস্টল করা যায়।
এখানেই শেষ নয় বিইএমএল লিমিটেডের (BEML Ltd) তরফে আরও একটি সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে যা গাড়ির ড্রাইভারদের ক্লান্ত মুখের সনাক্তকরণ করতে সক্ষম হবে। এটি বিশেষ করে সেনাবাহিনীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার বলে বিশ্বাস করছেন কর্মকর্তারা।
তবে এখনও পর্যন্ত এই সিস্টেমগুলো নিয়ে কার্যকরী ভাবে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, সিস্টেমগুলো শেষ পর্যন্ত কতটা কার্যক্ষমতা যুক্ত সেই নিয়ে আরও আলোচনার অবকাশ রয়েছে। তবে সব মিলিয়ে এমন প্রযুক্তিগত সনাক্তকরণ সম্ভব হলে অচিরেই অপরাধ অনুসন্ধানের জগতে খুব বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে।