সোশ্যাল মিডিয়া সাইট রেডিট-এ নিজের নাম প্রকাশ্যে না এনে এই সংক্রান্ত তথ্য শেয়ার করেছেন ইউরোপীয় ওই মহিলা। তাঁর কথায়, “আমি এবং আমার বোনেরা মিলে মজা করার জন্যই ডিএনএ পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আসলে ওই কিটটি আমি উপহার হিসেবে পেয়েছিলাম। তাই ভাবলাম, কেন নয়? আমার পরিবার আদতে পূর্ব ইউরোপীয়। আর এর থেকে বেশি কিছুই আমি আশা করিনি। কিন্তু যখন পরীক্ষার ফলাফল হাতে এল, তখন এক ভয়ঙ্কর সত্যি সকলের সামনে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে গেল। ওই ডিএনএ পরীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে যে, আমার ভাই এবং বোনেদের একে অপরের ডিএনএ-র মিল রয়েছে। কিন্তু আমিই তাঁদের সৎ বোন।”
advertisement
প্রাথমিক ভাবে তিনি বিষয়টা মানতে চাননি। তাঁর মনে হয়েছিল, রিপোর্ট ভুল। কিন্তু অন্য এক বোন আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এবং সত্যিটা সামনে আনার জন্য উঠেপড়ে লাগেন। তাই মা-বাবার সঙ্গে আলাদা ভাবে কথা বলার সিদ্ধান্ত নেন ওই মহিলার বোন। যদিও তাঁরা প্রথমে সত্যিটা এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। পরে ধীরে ধীরে তাঁদের বাবা সত্য স্বীকার করে নেন। আর জোর দিয়ে বলেন যে, ওই মহিলা সব সময় তাঁর সন্তানই থাকবেন।
এই সত্যি প্রকাশ্যে আসায় ওই মহিলা আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি জানান, “একটা সময় চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির কারণে আমি ভাবতাম, আমার যদি একজন আলাদা বাবা থাকত! কিন্তু বাবা-মা দু’জনকেই প্রচণ্ড ভালবাসেন তিনি। তাঁর মা-ও এখন সত্যিটা মেয়েকে জানাতে চান। কিন্তু ওই মহিলা আর মায়ের অতীত সম্পর্কে কিছুই জানতে চান না। এমনটাই সকলকে জানিয়েছেন ওই মহিলা।