নববধূ নিয়ে সটান থানায় পৌঁছে যাওয়ায় চমকে গিয়েছিলেন কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকেরাও। কিন্তু বিয়ের পরে কেন এমন কাণ্ড ওই দুই যুবক? অভিযোগ, পুরনো এক শত্রুতার জেরে পুলিশ পড়শিদের হাতে প্রহৃত হয়েছিলেন তাঁরা। আসলে বিয়ে করতে যাওয়ার আগে মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়ার সময়ই এই ঘটনাটি ঘটেছিল। তাই আগ্রায় বিয়ের পর নববিবাহিত স্ত্রীদের আর বরযাত্রীদের নিয়ে গ্রামে পৌঁছেই বাড়িতে ফেরার আগে তাঁরা থানায় যান এবং অভিযোগ দায়ের করেন। মঙ্গলবার পুলিশকে দেওয়া অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর দেন বরেরা। এরপরেই পুলিশ একটি মামলা রুজু করেছে।
advertisement
ওই দুই বর এবং অভিযুক্তরা আসলে প্রতিবেশী। দু’পক্ষই জাটব সম্প্রদায়ের মানুষ। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁদের মধ্যে শত্রুতা রয়েছে। এর প্রায় ৮ থেকে ১০ দিন আগে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ চরমে পৌঁছয়। থানার ইন-চার্জ রাজকুমার সিং বলেন যে, মঙ্গলবার মারধরের নালিশ জানিয়েছিলেন দুই বর। আসলে ওই দুই বরের নাম সুভাষ এবং কেশব। তাঁরা সম্পর্কে ভাই। উত্তর প্রদেশের আগ্রায় তাঁরা দুই ভাই বিয়ে করতে গিয়েছিলেন। এরপর অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্তের সন্ধানে তল্লাশি চালাতে শুরু করে পুলিশ। তবে অভিযুক্ত পালিয়ে যাওয়ায় কাউকেই ধরা যায়নি।
অন্যদিকে আবার এফআইআর করা যায়নি, কারণ তাতে প্রহৃত দুই ভাইয়ের স্বাক্ষর পাওয়া যায়নি। বিয়ের পরে বুধবার সন্ধ্যার পরে কনেদের নিয়ে গ্রামে পৌঁছেই বাড়ি ঢোকার পরিবর্তে তাঁরা সরাসরি থানায় চলে যান। অভিযুক্তের গ্রেফতারির দাবিও তোলেন। এদিকে বর আর কনেদের থানায় দেখতে ভিড় জমান গ্রামের বাসিন্দারা।
বর কেশব কুমার বলেন যে, ‘‘আমরা দুই ভাই বরের সাজে যে-ই বাড়িতে থেকে বেরিয়েছিল, তখনই এই ঘটনা ঘটেছিল। মন্দিরে বিগ্রহের মঞ্চের কাছেই রীতিমতো ওঁৎ পেতেছিল অভিযুক্ত। ওরা আমার একটা চেন আর আমাদের দু’জনের কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয়। আমরা তাই ফিরে থানায় এসে লিখিত অভিযোগ জমা করি। বিয়ে করে নববধূ নিয়ে ফেরার সময় থানায় ঢুকে আমরা একটা অভিযোগ দায়ের করেছি। আর অভিযুক্ত আমাদের গ্রামে ঢুকতে দিচ্ছে না।”