নানা পুরাণ আমাদের জানায় যে ঋষি দুর্বাষার শাপে শ্রীহীন হয়েছিলেন দেবতারা। তাই বিষ্ণুর পরামর্শে অসুরদের সাহায্য নিয়ে তাঁরা শুরু করেছিলেন ক্ষীরসমুদ্রকে মন্থন করার কাজ। তা চলাকালীন এই কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে ধন্বন্তরি অমৃতকলস হাতে সমুদ্র থেকে আবির্ভূত হন।
আবার এই সমুদ্রমন্থন চলার সময়েই, ধন্বন্তরির আবির্ভাবের আগে সমুদ্র থেকে উত্থিতা হয়েছিলেন দেবী লক্ষ্মী স্বয়ং! তাই এই তিথির সঙ্গে ধন অর্থে ধন্বন্তরি এবং সম্পদ, অন্য দিকে ত্রয়োদশীর সঙ্গে সাযুজ্য রেখে লোকমুখে তেরস শব্দটি যুক্ত হয়েছে। লক্ষ্মী এবং ধন্বন্তরির এই শুভ আগমনে দেবতারা সম্পদযুক্ত হয়েছিলেন, তাই প্রচলিত বিশ্বাস যে এই দিনে ঘরে কোনও মূল্যবান ধাতু আনলে এবং সায়ংকালে লক্ষ্মী-ধন্বন্তরি পুজো করলে অক্ষয় সৌভাগ্য লাভ হয়ে থাকে!
advertisement
কিন্তু সব পুজোরই রয়েছে নির্দিষ্ট লগ্ন। চলতি বছরে ধনতেরস পড়েছে ১৩ নভেম্বর। পুজোর লগ্ন বিকেল ৫টা ২৮ থেকে ৫টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
কিন্তু পৃথিবী যে হেতু নিজের অক্ষপথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে, সেই অনুসারে দেশের একে একটি প্রান্তে পুজোর লগ্ন হবে আলাদা আলাদা। দেখে নেওয়া যাক তা এক এক করে!
১. পুণেতে ধনতেরসের পুজোর লগ্ন বিকেল ৫টা ৫৭ থেকে শুরু করে ৫টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
২. নয়া দিল্লিতে ধনতেরসের পুজোর লগ্ন বিকেল ৫টা ২৮ থেকে শুরু করে ৫টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
৩. চেন্নাইতে ধনতেরসের পুজোর লগ্ন বিকেল ৫টা ৪০ থেকে শুরু করে ৫টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
৪. জয়পুরে ধনতেরসের পুজোর লগ্ন বিকেল ৫টা ৩৭ থেকে শুরু করে ৫টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
৫. হায়দরাবাদে ধনতেরসের পুজোর লগ্ন বিকেল ৫টা ৪১ থেকে শুরু করে ৫টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
৬. গুরুগ্রামে ধনতেরসের পুজোর লগ্ন বিকেল ৫টা ২৯ থেকে শুরু করে ৫টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
৭. চণ্ডীগড়ে ধনতেরসের পুজোর লগ্ন বিকেল ৫টা ৩০ থেকে শুরু করে ৫টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
৮. কলকাতায় ধনতেরসের পুজোর লগ্ন বিকেল ৪টা ৪৮ থেকে শুরু করে ৫টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
৯. মুম্বইতে ধনতেরসের পুজোর লগ্ন সন্ধ্যা ৬টা ০১ থেকে শুরু করে রাত ৮টা ৩৪ মিনিট পর্যন্ত।
১০. বেঙ্গালুরুতে ধনতেরসের পুজোর লগ্ন বিকেল ৫টা ৫০ থেকে শুরু করে ৫টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
১১. আহমেদাবাদে ধনতেরসের পুজোর লগ্ন বিকেল ৫টা ৫৬ থেকে শুরু করে ৫টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
১২. নয়ডায় ধনতেরসের পুজোর লগ্ন বিকেল ৫টা ৫২ থেকে শুরু করে ৫টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।