বায়ুদূষণের এই পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে তথ্য দেয়। সেই সূত্রেই উঠে এসেছে, ছুটির দিনে যানবাহন চলাচল কম থাকলেও ঢাকার বায়ুদূষণের কোনও হেরফের নেই।
আরও পড়ুন: পৃথিবীর একমাত্র প্রাণী, যার দুটি মাথা রয়েছে! বলুন তো, কোন প্রাণী? নামটা শুনেই কিন্তু অবাক হয়ে যাবেন
advertisement
গত সোম ও বৃহস্পতিবার (২ ও ৫ ডিসেম্বর) ঢাকার বায়ু ছিল দুর্যোগপূর্ণ পরিমাপের। বায়ুমান ৩০০–এর বেশি হলেই তা দুর্যোগপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আর পরপর তিন দিন টানা তিন ঘণ্টা করে দূষণ এমনই থাকলে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ঘোষণার নিয়ম আছে। ঢাকার বায়ুর আজ যে মান, তা যে কোনও মানুষের জন্যই ক্ষতিকর বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। ঢাকার মার্কিন দূতাবাস, পুরান ঢাকার বেচারাম দেউড়ি ও ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় বায়ুর মান সবচেয়ে খারাপ।
ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হল বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি। শুক্রবার ঢাকার বাতাসে এর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান মাত্রার চেয়ে ৩৪ শতাংশ বেশি। শুক্রবার ঢাকায় বায়ুদূষণের যে অবস্থা, তা থেকে রক্ষা পেতে ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে, খোলা স্থানে ব্যায়াম করা যাবে না, ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে। এমনই পরামর্শ দিয়েছে আইকিউএয়ার।