ধৃত ওই যাত্রী আসলে উগান্ডার বংশোদ্ভূত। সিনিয়র শুল্ক অফিসারদের মতে, শারজা থেকে নয়াদিল্লিগামী জি৯-৪৬৩ উড়ানে এই ঘটনাটি ঘটেছিল। উড়ানটি ওড়ার পরেই বিমানসেবিকারা যাত্রীদের মধ্যে খাবার বিতরণ করতে শুরু করে। কিন্তু এর মধ্যে এক যাত্রী খাবার নিতে চাননি। এমনকী, ৪-৫ ঘণ্টার লম্বা উড়ানে খাবার এমনকী পানীয়ও মুখে তোলেননি তিনি। এই বিষয়টা লক্ষ্য করেন বিমানসেবিকা। ফলে তাঁর মনে সন্দেহ দানা বাঁধে।
advertisement
আরও পড়ুন– সম্পত্তি হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার ‘ভয়’ ! আজও এই গ্রামে পালিত হয় না রাখিবন্ধন উৎসব
সন্দেহ আদৌ ঠিক কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ওই যাত্রীকে জল দিতে চান ওই বিমানসেবিকা। কিন্তু সেটাও নিতে চাননি ওই যাত্রী। এই সময় তাঁর আচরণ একেবারেই পছন্দ হয়নি বিমানসেবিকার। এবার একেবারে নিশ্চিত হয়ে যান তিনি। সময় নষ্ট না করে বিমানের ক্যাপ্টেনকে বিষয়টি জানান ওই বিমানসেবিকা। এরপর ক্যাপ্টেনও তড়িঘড়ি খবর পাঠিয়ে দেন ইন্দিরা গান্ধি বিমানবন্দরের এটিসি-র কাছে।
আরও পড়ুন– হরিয়ানার রাস্তায় দুটো গাধা নিয়ে ঘুরছেন প্রাক্তন IAS অফিসার ! কারণ জানলে চমকে উঠবেন
খবর পাওয়ামাত্রই এটিসি বিষয়টি বুঝতে পারে। তারাও এই খবর পাঠিয়ে দেয় কাস্টমস প্রিভেন্টিভ টিমের কাছে। আর তথ্য হাতে আসামাত্রই নড়েচড়ে বসে তারা। ভোরবেলা ৪টে ৩০ মিনিট নাগাদ যখন উড়ানটি অবতরণ করে, তখন ওই যাত্রীকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তখন ওই যাত্রী স্বীকার করে নেন যে, তিনি শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে মাদকের ক্যাপসুল গ্রহণ করেছিলেন। এরপর ওই যাত্রীকে সফদরজঙ্গ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ওই যাত্রীর পাকস্থলী থেকে ১৩টি ক্যাপসুল বার করে আনা হয়।
ক্যাপসুলগুলি পরীক্ষা করে তার মধ্যে থেকে ৩৫৭ গ্রাম কোকেন উদ্ধার হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে যার মূল্য ৫.৩৬ কোটি টাকা। এই তথ্য বার করে আনতে প্রায় ৯ দিন সময় লেগে গিয়েছে চিকিৎসক এবং তদন্তকারীদের। আপাতত মাদক পাচারের অভিযোগে শ্রীঘরে ঠাঁই হয়েছে উগান্ডার বংশোদ্ভূত ওই বিদেশি নাগরিকের।