টাউন থানা এলাকার আওতাধীন পিছলা পঞ্চায়েতের পাতলুয়া গ্রামে ভুট্টার ক্ষেতে ২১ বছর বয়সী এক বিবাহিত মহিলার মৃতদেহ পাওয়া যায়। মহিলার বাবা তার শ্বশুরবাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনে। পুলিশ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয় এবং তদন্ত শুরু করে। এরপর ২০২৫ সালের ২৭ মার্চ মৃতার শ্বশুর এবং ভগ্নিপতিকে হেফাজতে নেওয়া হয়। ২৮ মার্চ মামলাটি এক অন্য মোড় নেয়।
advertisement
শ্বশুরবাড়ির লোকেদের গ্রেফতারের মাত্র দুই দিন পর মহিলার প্রেমিক মোহাম্মদ ভাট্টু থানায় আত্মসমর্পণ করেন। সে মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা। মৃতা প্রতিবেশী। দুজনের আগেই পরিচয় হয়েছিল। তারপর কথাবার্তা এতটাই বেড়ে যায় যে সম্পর্কটি প্রেমের সম্পর্কে পরিণত হয়। মেয়েটি ইতিমধ্যেই বিবাহিত ছিল। তবু সে ভাট্টুকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিল। এমনকি সে পালিয়ে যাওয়ার কথাও বলেছিল। কিন্তু ভাট্টু এরকম কিছু করতে চায়নি। অভিযোগ, মৃতা হুমকি দিচ্ছিল যদি সে তাকে বিয়ে না করে তাহলে তার বাড়িতে জানবে। তখনই তাকে খুন করে লাশ মাটিতে পুঁতে দেয়।
পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। মৃতার একটি ৩ মাস বয়সী মেয়েও আছে। ঘটনার পর স্থানীয় মানুষ মৃতের শ্বশুরবাড়ির লোকদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছেন, যাদের বিনাদোষে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পুলিশ সুপার সাগর কুমার জানিয়েছেন, যুবক আত্মসমর্পণ করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।