ইংল্যান্ডের ওই দম্পতি জানিয়েছেন, কিছু দিন আগেও তাঁরা এই পেশায় ছিলেন না। ৩২ বছরের জেস মেক আপ শিল্পী হিসাবে কাজ করতেন, যা থেকে উপার্জন ছিল অনিয়মিত। ৩৩ বছরের মাইক কাজ করতেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে চুক্তিভিত্তিক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সহকারী হিসাবে। এই কাজ করে ওই দম্পতি প্রতি মাসে প্রায় ২ হাজার পাউন্ড উপার্জন করতেন। আর এখন পর্নোগ্রাফি ভিডিও বানিয়ে তাঁদের উপার্জন প্রতি মাসে অন্তত ৩০ হাজার পাউন্ড। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৩০ লাখ টাকার সমান। এই ভিডিও বানিয়ে গত কয়েক মাসে তাঁদের উপার্জন হয়েছে ৫ লক্ষ পাউন্ডের বেশি। যা দিয়ে ওই দম্পতি একটি মার্সিডিজ এবং একটি ফিয়াট গাড়ি কিনেছেন। তাঁরা তাঁদের পুরনো বাড়িটিকেও মেরামত করেছেন।
কিন্তু সম্প্রতি ওই দম্পতিকে বেশ সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাঁরা তাঁদের সন্তানদের স্কুল থেকে আনতে গেলে সবাই কাজ থামিয়ে তাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকেন, তাঁদের ঘিরে চারিদিকে একটা গুঞ্জন শুরু হয়। প্রথমে তাঁরা এই বিষয়ে পাত্তা না দিলেও ধীরে ধীরে তাঁদের অস্বস্তি বাড়তে থাকে। জেস এবং মাইক দু'জনেই এর ফলে সমস্যায় পড়েছেন। জেস অবশ্য জানিয়েছেন পেশার স্বার্থে যে তাঁরা পর্নোগ্রাফি ভিডিও তৈরি করছেন, তা তাঁদের সন্তানেরা জানে। জেসের প্রথম পক্ষের স্বামীর ওই দুই সন্তানের এই বিষয়ে কোনও আপত্তি নেই। তাদের একজনের বয়স ৭ এবং অন্যজনের বয়স ১১ বছর। জেস জানিয়েছেন ছোট বাচ্চাটির এখনও এসব বোঝার বয়স না হলেও, তাঁরা তাকে কিছুটা ইঙ্গিত দিয়েছেন। বড় বাচ্চাটি ১১ বছরের হলেও সে সেই ইঙ্গিত বুঝে নিয়ে তার মাকে জানিয়েছে, তাঁরা যদি এতে ভালো থাকেন, তাহলে সে-ও খুশি!