অ্যান্টার্কটিকা এবং দক্ষিণ মহাসাগরের উপর জলবায়ু সংকটের প্রভাব এবং সমুদ্রের পরিবেশ রক্ষা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে বারবারা হার্নান্দেজ এত কম তাপমাত্রায় হাড়হিম করা ঠান্ডা জলে সাঁতার কেটেছেন। ড্রেক প্যাসেজের উত্তাল জলে দ্রুততম সাঁতারু হিসাবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের খেতাব জয় করেছেন এই ৩৭ বছরের মহিলা। নাও দিস এর দ্বারা শেয়ার করা ভিডিওটিতে বারবারাকে একটা ছোট বোট থেকে ওয়েটস্যুট ছাড়াই কনকনে অ্যান্টার্কটিকার জলে ঝাঁপ দিতে এবং কনকনে ঠান্ডা জলে ওয়েটস্যুট ছাড়াই দ্রুতবেগে সাঁতার কাটতে দেখা যায় । ভিডিওটি এখানে দেখুন-
advertisement
স্প্যানিশ ভাষায় তিনি জানিয়েছেন ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অ্যান্টার্কটিকায় সাঁতার কাটা তার স্বপ্ন ছিল। তিনি আরও যোগ করেন যে তার সাঁতার কাটার উদ্দেশ্য কোন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ বা অসম্ভবকে সম্ভব করা নয়। বরং অ্যান্টার্টিকাকে রক্ষা করা এবং তার ওপর জলবায়ুর পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে সবাইকে অবগত করা এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যেই তিনি এই কাজে নিজেকে যুক্ত করেছেন। এছাড়াও তিনি সমগ্র বিশ্ববাসীর কাছে এই চমৎকার জায়গাটিকে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। তিনি নিজেকে খুবই ভাগ্যবান মনে করেন এই ক্ষেত্রে। শেষে তিনি তার দলের সদস্যদেরও ধন্যবাদ জানাই।
কোন দুর্গম কাজ কখনও একদিনে সম্ভব হয়না। এই কথাটা চিরন্তন সত্য। বারবারাও টাস্কের জন্য প্রস্তুতি নিতে তিন বছর পরিশ্রম করেছেন। এর জন্য তার শরীরের ওপর দিয়ে অনেক ঝড় বয়ে গেছে। হাড়হিম করা ঠান্ডায় সাঁতার কাটতে গিয়ে হাইপোথারমিয়ার নামক রোগের শিকার হন তিনি যেখানে তার শরীরের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়।
একটি প্রতিবেদনে জানা গেছে ২০২২ সালের জুন মাসে দক্ষিণ চিলির কাবো দে হর্নোসে প্রশান্ত মহাসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্যবর্তী অঞ্চল ড্রেক প্যাসেজ দিয়ে মাত্র ১৫ মিনিট ৩ সেকেন্ড এক নটিক্যাল মাইল পাড়ি দিয়ে সবচেয়ে দ্রুততম সাঁতারু হয়ে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডের রেকর্ড ভাঙেন বারবারা। পাশাপাশি দ্য ওয়ার্ল্ড ওপেন ওয়াটার সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের পুরষ্কারও জেতেন তিনি।
"আইস মারমেইড" নামে পরিচিত এই বারবারা হার্নান্দেজ পেশায় একজন মনোবিজ্ঞানী এবং সাঁতারু।