খেত থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা সেখানে যান। খেতে পড়ে থাকা একটি বস্তা থেকে সন্দেহজনক গন্ধ বেরোচ্ছিল। গ্রামের মানুষজন পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে বস্তা খুলতেই বেরিয়ে আসে অনিতার মৃতদেহ। দেখে বোঝা যায় বহু আগেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে আসে ফরেন্সিক দল, নমুনা সংগ্রহ করে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
advertisement
৩০ দিনেই ফলে! বাগানে বা বাড়ির টবেই লাগান এই ‘বীজ’… বেচে লাখ লাখ টাকা কামাবেন ঘরে বসেই!
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মাত্র তিন দিন আগে বিশালের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেন অনিতা এবং তাঁর বাড়িতেই থাকতে শুরু করেন। কিন্তু বিশালের পরিবারের সেই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি। জানা গিয়েছে, বিয়ের পরদিন ১৯ মে বিশাল কিছু কাজে বাইরে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগেই পরিবারের সদস্যরা অনিতাকে খুন করে বস্তায় ভরে ফেলে দেয় আখখেতে।
পুলিশ যখন বিশালের বাড়িতে যায়, তখন সেখানে শুধু তাঁর বোন ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই বোন জানান, তাঁদের পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। বিশালকে বহুবার অনিতার থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি রাজি হননি, কারণ অনিতা ছিলেন গর্ভবতী। সেই বিরোধ থেকেই খুনের ঘটনা ঘটে বলে দাবি।
পুলিশ মৃতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। এখনও পর্যন্ত তাঁদের কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার পরেই আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে।