কীভাবে হল এই গবেষণা? গবেষকরা সমুদ্রের তলা থেকে একটি ক্ষুদ্র সেডিমেন্ট সংগ্রহ করেছিলেন। যেটির বয়স প্রায় ৩০ লক্ষ বছর। সেটির সাহায্যে দেখা যায়, সেই সময়ে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ছিল ৩ ডিগ্রি বেশি। আকারে ছোট ছিল মেরু অঞ্চলের বরফের পরিমাণ। ডক্টর এলউইন দে লা ভেলগার নেতৃত্বে চলা এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সেই সময়ে পৃথিবীতে কেমন ছিল কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ। কীভাবে বরফের স্তর নিয়ন্ত্রিত হত, সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা কত ছিল।
advertisement
এই গবেষণার মাধ্যমে দেখা গিয়েছে, কীভাবে পৃথিবী কার্বন ডাই অক্সাইডের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, পৃথিবীর বর্তমান যা অবস্থা, তাতে ২০২৫ সালের মধ্যে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড বৃদ্ধির পরিমাণ হবে ২.৫ পিপিএম/প্রতি বছরে। সেই অঙ্ক ছাড়িয়ে যাবে ৩৩ লক্ষ বছর আগের পৃথিবীতে থাকা কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ। সমুদ্র তলের উষ্ণতাও এর ফলে বৃদ্ধি পাবে। আমরা এখনও সেই আগের স্তরের সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বা অন্য পারিপার্শ্বিক বদল দেখতে পাচ্ছি না, কারণ, এই CO2 বৃদ্ধির সঙ্গে পৃথিবীর নিজেকে মানিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগে। ফিজিকস ডট ওআরজি–তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে, পরিস্থিতি ঠিক কোনদিকে যাবে, তা এখনই ঠিক করে বলা মুশকিল। কারণ, এক নতুন জৈব যুগের পরিবর্তন বলা যায়।