বেশিরভাগ লোকই গাড়িতে কোনও দেব-দেবীর মূর্তি রাখেন। ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস থেকেই তাঁরা এমনটা করেন। আসলে ভারতের রাস্তায় গাড়ি বা বাইক চালানো একরকম চ্য়ালেঞ্জ। এমনিতেই জনবহুল দেশ। ফলে রাস্তায় প্রায় সবসময়ই ভিড়। তার মধ্যে বহু মানুষ ট্রাফিক আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাস্তায় ড্রাইভ করেন।
আরও পড়ুন- টোটোর দাপাদাপি! বাংলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ‘এই’ যান, বহু মানুষের ভবিষ্যৎ অন্ধকার
advertisement
আপনি জেনে অবাক হবেন, ভারতে এমন একটি মন্দির রয়েছে যেখানে কোনও দেব- দেবী নয়, বুলেট মোটরবাইকের পুজো করা হয়। এই মন্দিরটি কোথায় আজ আমরা বলব সেই ব্যাপারে।
রাজস্থানের পালি-যোধপুর মহাসড়কের পাশে চোটিলে গ্রামের একটি রাস্তার কাছে একটি গাছের নীচে সেই মন্দির। সেখানে বুলেট বাইকের রোজ পুজো করা হয়। যোধপুর থেকে ৫৮ কিলোমিটার দূরে এই মন্দির।
এই মন্দিরের নাম দেওয়া হয়েছে ওমবান্না ধাম। লোকে বলে বুলেটবাবার মন্দির। কথিত আছে এই মন্দিরটি ওম সিং রাঠোরের পিতা জোগ সিং রাঠোর তৈরি করেছিলেন। এই মন্দিরটি এখন বুলেট বাবা মন্দির নামে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
যোধুপারের এই বুলেট মন্দিরের পিছনের গল্পটি বেশ দুঃখজনক। আসলে এই মন্দিরে এমন কিছু ঘটেছিল যা মানুষ আজও ভুলতে পারেনি। ১৯৯১ সালে দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। রাজস্থানের পালি জেলায় ওম সিং রাঠোরের মৃত্যু হয়।
সেখানকার মানুষ তাঁকে শ্রদ্ধা করতেন। তাই তাঁর মৃত্যুর পর দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি জায়গায় তাঁর মন্দির তৈরি করা হয়। স্থানীয় মানুষ বিশ্বাস করে, এখনও তাঁর আত্মা মানুষকে দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা করে।
আরও পড়ুন- মহিলা না পুরুষ? বুদ্ধিতে বাজিমাত কাদের? উত্তর শুনলে খুশিই হবেন, মন ভাঙতেও পারে
স্থানীয়রা এই মোটরসাইকেলটিকে ভুতুড়ে বলে মনে করেন। এর পেছনেও কারণ রয়েছে। আসলে দুর্ঘটনার পর পুলিশ বুলেটটিকে থানায় নিয়ে যায়। তার কিছুক্ষণ পর বুলেট সেই জায়গায় ফিরে আসে যেখানে ওম সিং রাঠোর মারা গিয়েছিলেন। এর পর পুলিশ বাইকটিকে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখে। সেখানেও বুলেট স্টার্ট নিয়ে নেয়। এমনই জানায় স্থানীয়রা।
জয়পুরের আশেপাশের মানুষও এখানে বুলেট মন্দিরে পূজা করতে আসেন। দিন দিন এই মন্দিরের স্বীকৃতি বাড়ছে। এখন দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ শুধু বুলেটে লাল সুতো বেঁধে পুজো করেন। কথিত আছে এমনটা করলে ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়।