অনেক দেখাশোনার পর বিয়ে। খুব খুশি ছিলেন বর। কিন্তু ফুলশয্যার রাতে বিপত্তি। কথার ফাঁদে বরকে আটকে প্রায় আড়াই লাখ টাকা আর প্রচুর সোনার গয়না নিয়ে পালালেন নববধূ। এখন ওই মহিলা-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
advertisement
হরিয়ানায় বিয়ের নামে শুরু হয়েছে লোক ঠকানোর ব্যবসা। রীতিমতো গ্যাং রয়েছে। মেয়ে দেখানো থেকে শুরু করে বিয়ে দেওয়া পর্যন্ত সব করাচ্ছে তারাই। তারপর ঝোপ বুঝে কোপ। বরপক্ষ সর্বস্বান্ত। যখন গোটা বিষয়টা বোধগম্য হচ্ছে, তখন আর কিছু করার নেই।
এটা হরিয়ানার রোহতক জেলার মহম এলাকার ঘটনা। যুবকের ৩৬ বছর বয়স। কিন্তু কিছুতেই বিয়ে হচ্ছিল না। এদিকে বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে। দেখাশোনা চলছে, কিন্তু বিয়ে ভেঙে যাচ্ছে বারবার। পরিবারও চিন্তায়। তখন শীলা দেবী নামের রোহতকের এক মহিলা তাঁদের জানান, পঞ্জাবের মানসায় একটা ভাল মেয়ে আছে। গরিব পরিবার। ওই মেয়ের সঙ্গে তাঁরা ছেলের বিয়ে দিতে পারেন।
শীলা দেবী নিজেই উদ্যোগ নেন। প্রথমে দেখাশোনা, তারপর পাকা দেখা। শেষে বরযাত্রী নিয়ে বর পৌঁছন পঞ্জাব। সেখানেই বিয়ে হয়। মেয়ে দেখে দেওয়ার জন্য টাকাও নেন ওই মহিলা। বর জানিয়েছেন, সুখপ্রীত কৌর নামে এক যুবতীকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। নববধূকে প্রচুর গয়নাও দেওয়া হয়েছিল।
এরপর পঞ্জাব থেকে তাঁরা আসেন রোহতক। এখানেই বউভাত হয়। ফুলশয্যার রাতে বর ঘরে ঢোকেন। নববধূ বসে রয়েছেন। সব ঠিকঠাক। কাছে যেতেই নড়েচড়ে বসেন স্ত্রী। জানিয়ে দেন, পিরিয়ড চলছে। চারদিন তাঁরা আলাদাই থাকেন। এরপরই স্ত্রী জানান, তাঁর মাসি মারা গিয়েছেন। এখনই তাঁকে যেতে হবে।
এমনটা তো হতেই পারে। কোনও সন্দেহ হয়নি যুবকের। তিনি নিজেই স্ত্রীকে নিয়ে গিয়ে বাসে তুলে দেন। কিন্তু বাড়ি ফিরে দেখেন টাকাপয়সা, সোনার গয়না, নতুন পোশাক কিচ্ছু নেই। নববধূর ব্যাগে মোবাইল ফোন আর নগদ ১৫ হাজার টাকা রাখা ছিল। সেটাও গায়েব।
সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রী সুখপ্রীতকে ফোন করেন যুবক। স্ত্রী আশ্বস্ত করে বলেন, চিন্তার কিছু নেই, তিনি কয়েকদিনের মধ্যেই ফিরবেন। কিন্তু দিন কেটে যায়, মাস গড়িয়ে যায়, স্ত্রী আর ফেরেন না। এরপর ২১ জুলাই অন্য এক যুবকের সঙ্গে স্ত্রীকে ঘুরতে দেখেন বর। খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রী ওই যুবককেও বিয়ে করেছেন। শুধু তাই নয়, তাঁর কাছ থেকে গায়েব হয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। এরপরই পুলিশে অভিযোগ জানান যুবক।